রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্র: ফিরহাদ উবাচ!
রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার পিছনে রয়েছে কেন্দ্রের হাত এমনটাই মনে করেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মুম্বই-গুজরাটের চেয়ে অনেকাংশে ভাল। তাই, সেটা সহ্য করতে না পেরে চক্রান্ত করে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢোকানো হচ্ছে। চেষ্টা হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ানোর। কেন্দ্রকে এই নিয়ে কড়া ভাষায় তোপ কলকাতা দাগলেন তিনি। রোজ নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনা। পশ্চিমবঙ্গে আবার সমস্যার ত্রিফলা। একে করোনা। তায় সঙ্গী আমফান। সেই সঙ্গে এবার উঠে গেছে লকডাউন। হু হু করে রাজ্যে ঢুকছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক।
ফিরহাদ হাকিম, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ও সেই সঙ্গে পুরসভার প্রশাসকও বটে। তিনিও কিছু জানেন না। চীনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে চক্রবৃদ্ধি হারে। চোখ ঘুরিয়ে রাখা যাচ্ছে না রাজ্য তথা দেশের অবস্থার দিক থেকেও।
সরকারি তথ্য বলছে, ১০ মে রাজ্যে টেস্ট হয়েছিল ৪০৩৬ টি, ১৫৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে, মারা যান ১৪ জন। ২০ মে টেস্ট হয়েছিল ৮৭২০ জনের, ১৪২ জন পজিটিভ হন, মারা যান ৩ জন। ৩০ মে ৯৩৪৬ জনের টেস্ট হয়, ৩১৭ জন পজিটিভ হন, মারা যাননি কেউ। ৩ জুন ৯৪৯৯ জনের টেস্ট হয়, ৩৪০ জন পজিটিভ হন, মারা গেছেন ১০ জন।
বলার অপেক্ষা রাখে না টেস্ট বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংক্রমণের হারও। কিন্তু মৃত্যুহার সেইভাবে বাড়েনি। চিকিত্সা বিশেষজ্ঞদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, লকডাউন শিথিল হতেই রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন, সংক্রমণ বাড়ছে এবং তা ছড়িয়ে পড়ছে জেলায় জেলায়। একই অভিযোগ করছে রাজ্যও। রাজ্যের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা ব্যবস্থা না করেই কেন তড়িঘড়ি লকডাউনের পথে হাঁটল কেন্দ্র?