কলকাতা

কলকাতা কর্পোরেশনের তৃণমূল কাউন্সিলারের কাটমানির ছবি দিয়ে পোস্টার

মৌখিকভাবে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, তিনি আবারও কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হবেন। যদিও এখনও দলের তরফে নাম ঘোষণা হয়নি। যাই হোক, সেই ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী দে-কে উদ্দেশ্য করে বুধবার রাতে একটি বড় হোর্ডিং ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের সামনে। ওই হোর্ডিংয়ে কাটমানি সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে মৌসুমীর বিরুদ্ধে।

কী লেখা হয়েছে সেই হোর্ডিংয়ে? লেখা রয়েছে, ‘সৌজন্যে কাটমানি, কলকাতা টু মন্দারমণি’। এখানেই শেষ নয়। কোথায় কোথায় কোন সম্পত্তি, কার নামে কেনা হয়েছে, সবকিছুই ছবি সহ রুট ম্যাপ দেওয়া হয়েছে হোর্ডিংয়ে। এমনকি তাঁর বাড়িতে লাগানো তিনটি এসি’র ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘বুঝুন কী গরম!’

tmc poster

এই বিষয়ে মৌসুমী দে-কে জিজ্ঞাসা করা হলে জবাব মেলে, তাঁর নাম করে কোনও হোর্ডিং পড়েনি। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘নির্বাচন এলে এমন অনেক কিছুই হয়। এই নিয়ে আমি একেবারেই মাথা ঘামাতে নারাজ। গত ৮ মাস আগেও এই একই পোস্টার পড়েছিল।’ মৌসুমী দে-র যুক্তি, ‘গত ১০ বছর তাঁর এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। সেটি সহ্য করতে না পেরে বিরোধীরা এমন কাজ করছে।’ কিন্তু কারা করছেন এই প্রচার! মৌসুমী দে-এর জবাব, ‘রাতের অন্ধকারে যখন করছে, তখন দুষ্কৃতী বা চোর কেউ করে থাকতে পারে।’ পাশাপাশি প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে বিরোধীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘এইসব করে কিছু লাভ হবে না। আসলে ওরা কী বলে ভোট আদায় করতে যাবে তা বুঝতে পারছে না। তাই বেমক্কা বদনাম ছড়াচ্ছে। তবে যত বদনাম করবে তত আমাদের ভোট বাড়বে।’ আর এই ধরণের পোস্টারের বিরুদ্ধে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোনও ব্যবস্থা নেবেন কিনা প্রশ্ন করায় মৌসুমীদেবী বলেন, ‘ রাস্তা দিয়ে গেলে কত কুকুর ঘেউ-ঘেউ করে। সবকিছুতে পাত্তা দিতে নেই।’

Leave a Reply

Back to top button
%d bloggers like this: