কলকাতা

কলকাতা বা বিধাননগরে বন্ধ করা যাবে না কোনও হু’কাবা’র, পুরসভার সিদ্ধান্ত বাতিল করে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

হু’কাবা’র বন্ধ করার নির্দেশকে চ্যালেন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্তোরাঁর তরফে একটি মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ, মঙ্গলবার। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয় আজ। সেখানেই বিচারপতি জানতে চান যে মেয়র কোন যুক্তিতে হু’কাবা’র বন্ধের নির্দেশ দিলেন? কলকাতা বা বিধাননগরে কোনও হু’কাবা’র বন্ধ হবে না বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

বিচারপতি মান্থা এদিন জানতে চান যে কেন হু’কাবা’র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল । তাঁর কথায়, রাজ্য চাইলে আলাদা আইন আনতে পারে কিন্তু এভাবে হু’কাবা’র বন্ধ করতে পারে না পুলিশ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, হু’কা শুধুমাত্র ধূমপানের অঙ্গ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, রাজ্য যতক্ষণ না পর্যন্ত আইন আনছে, কলকাতা পুরসভা বা বিধাননগর পুরসভার হু’কাবা’র বন্ধ করার কোনও অধিকার নেই। বিচারপতি বলেন, রেস্তোরাঁয় যদি আইন মেনে হু’কা বা’র চলে, তাহলে তা বন্ধ করা যায় না। কারণ সেখানে হু’কা বা’র খোলার জন্য আলাদা করে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া থাকে।

গত মাসে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হু’কায় যে কেমিক্যাল দেওয়া হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তারপর নতুন লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলব। যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা এটি বন্ধ রাখুন”।

পুরসভার নির্দেশের পরই ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্টুরেন্টের তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, ২০০৩ সালে ‘কেন্দ্রীয় টোব্যাকো আইন’ মেনে বার চালানো হয়। তাই পুলিশ ও পুরসভা কীভাবে হু’কা’বা’র বন্ধ করতে পারে।

মামলাকারীরা আরও জানা যে হু’কায় ভেষজ তামাক ব্যবহার করা হয়। পুরসভা যদি এই সিদ্ধান্ত বদল না করে, তাহলে প্রচুর রেস্তোরাঁ ক্ষতির মুখে পড়বে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবারের মধ্যে পুলিশ কমিশনারদের থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল।

আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, “মেয়র কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কোথাও হুকায় কিছু মেশানো হচ্ছে কি না তা অনুসন্ধান করুন। কিন্তু পুরসভার কোনও অধিকার নেই তা বন্ধ করে দেওয়ার। সিগারেট থেকে একটা বিরাট অর্থ রাজ্যের কোষাগারে যায়। রেস্তোরাঁয় হুকার জায়গাও আলাদা হয়। নিকোটিনও হার্বাল হলে আপত্তি কোথায়? নারকোটিক হলে সমস্যা হওয়ার কথা”।

Back to top button
%d bloggers like this: