MLA হোস্টেলের বাইরে বিক্ষোভ, চাকরিপ্রার্থীর গলা টিপে ধরার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, টেনেহিঁচড়ে বাসে তুলল পুলিশ

দীর্ঘদিন ধরে চাকরির দাবী নিয়ে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এবার এমএলএ হোস্টেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ তাদের হটানোর চেষ্টা করে। এর জেরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতার কিড স্ট্রীটে। আন্দোলনকারীদের দাবী, বুধবারই বিধানসভায় তাদের নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
কেন এমন ধুন্ধুমার কাণ্ড এমএলএ হোস্টেলের বাইরে?
রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা থেকে শুরু করে মণিপুরের নানান ইস্যু, সব নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বিধানসভায়। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের প্রসঙ্গ কেউ তুলছেন না। সেই অভিযোগ তুলেই আজ, বুধবার সকালে কলকাতার কিড স্ট্রীটে এমএলএ হোস্টেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখেন ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিন চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ তোলেন যে বিধানসভায় কেউই নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছেন না। চাকরিপ্রার্থীদের এমন বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, নীলাদ্রিশেখর দানারা।
তড়িঘড়ি সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীদের সেখান থেকে হটানোর চেষ্টা করেন তারা। ৫ মিনিটের মধ্যে জায়গা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা মানতে রাজি হয়নি বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের কথায়, “আমাদের এখানে থাকার কথা ছিল না। আমাদের স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৯০০ দিন ধরে বিক্ষোভে রাস্তায় আমরা। আমাদের কথা কেউ ভাবছে না”।
চাকরিপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেল পুলিশ
চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের দাবী অনড় থাকায় তাদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। রুখে দাঁড়ান শঙ্কর ঘোষ। তিনি সাফ জানান, মহিলা পুলিশ ছাড়া কেউ মহিলা প্রার্থীদের গায়ে হাত দেবে না। একটি বাস আনে পুলিশ। তাতে চাকরিপ্রার্থীদের তোলা হয়। এই বিক্ষোভের মধ্যেই এক চাকরিপ্রার্থীর গলা টিপে ধরেন এক পুলিশ কর্মী। তা নিয়ে বাড়ে ক্ষোভ। চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “যেভাবে টেনে হিঁচড়ে তোলা হত, সেটা কলঙ্ক। রুচিহীন রাজনীতির জন্যই এই ঘটনা ঘটছে”। এমএলএ হস্টেলের বাইরে বিক্ষোভ নিয়ে অসন্তুষ্ট হন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।