কলকাতা

‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ভরা বসন্তের জোয়ার শোভন-বৈশাখীর জীবনে, দোলের দিন একে অপরকে রাঙালেন প্রেমের রঙে

তাদের এমনিতে বেশ রঙিন যুগলই বলা যায়। একে অপরের মধ্যেই যেন মিশে রয়েছেন তারা। আর সময়টা এখন বসন্ত, তার উপর দোল। রঙ যে তাদের প্রাণেও লাগবে, তাতে আর আলাদা করে বলার কী আছে! একে অপরকে প্রেমের রঙে রাঙিয়েই দোল খেলায় মাতলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

দুর্গাপুজো হোক না অন্য কোনও উৎসব সবকিছুই একে অপরের সঙ্গে পালন করেন শোভন-বৈশাখী। দশমীতে সকলের সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুরও পরিয়ে দিয়েছিলেন শোভন। ব্যক্তিগত জীবন হোক বা রাজনৈতিক, যে কোনও সংকটে শোভনের পাশ থেকে কিন্তু সরে যান নি বৈশাখীও।

দোলের দিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে সকলকে দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বৈশাখী। কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে একে অপরকে রঙ মাখিয়ে দিচ্ছেন শোভন-বৈশাখী। তো আবার কোনও ছবিতে দেখা গিয়েছে একে অপরকে ঠাণ্ডাই খাওয়াচ্ছেন তারা। তাদের সঙ্গে দোলে মেতে উঠেছিল বৈশাখীর মেয়ে মেহুলও।

‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ভরা বসন্তের জোয়ার শোভন-বৈশাখীর জীবনে, দোলের দিন একে অপরকে রাঙালেন প্রেমের রঙে 2

এক সংবাদমাধ্যমে দোল নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানান, তাঁর কাছে প্রেম হল শোভন। বৈশাখীর কথায়, “জীবনে ভালবাসার উপর যখন আস্থা উঠে গিয়েছিল, সেই সময় নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসায় ভরিয়ে দেওয়ার একজন মানুষ আসে জীবনে, তাঁর নাম শোভন। আমার জীবনে প্রথম ও শেষ প্রেম শোভন। আমি চাই ওর ভালবাসার এই রঙটুকু নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে”।

‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’, ভরা বসন্তের জোয়ার শোভন-বৈশাখীর জীবনে, দোলের দিন একে অপরকে রাঙালেন প্রেমের রঙে 3

আবার শোভনও বলেন, এর আগে অতীতে দোলের সময় কখনও গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন তাঁরা। কখনও গোপালপুর, কখনও ভুবনেশ্বর, কখনও কাশ্মীরে কাটিয়েছেন। এবারের হোলি তারা কাটাবেন মাইসোরে। প্রাক্তন মেয়রের কথায়, “প্রেমের উপলব্ধি যদি করতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে মেড ফর ইচ আদার। শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে উচ্চারণ করলে প্রেম কী জিনিস তা বোঝা যাবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: