India

রাজধানীতে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল জইশ-উল-হিন্দ! ইরানি যোগ দেখছে পুলিশ

বিজ্ঞাপন
গতকাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে। প্রাথমিক ভাবে আইইডি বিস্ফোরণ বলেই মনে করা হয়েছিল এই ঘটনাকে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বিস্ফোরণের মুহূর্তে রাজধানী দিল্লিতে ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’ চলছিল। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিজ্ঞাপন

দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণের তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে বিভিন্ন তথ্য। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও এনআইএ-র দল এই ঘটনার তদন্ত করছে। এরইমধ্যেই জইশ-উল-হিন্দ নামে এক সংগঠনের নাম সামনে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

ইতিমধ্যেই এই সংগঠন ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণের দায়স্বীকার করেছে।

বিজ্ঞাপন
যদি এটি কী ধরনের সংগঠন, এর যোগ কাদের সঙ্গে বা কোনও স্লিপার সেল কিনা, এই ব্যাপারে কোনও বিস্তারিত তথ্য এই মুহূর্তে তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছে নেই l

একইসঙ্গে রাজধানীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি  জানিয়েছে এই ঘটনায় ইরানি যোগ স্পষ্ট। ঘটনাস্থল থেকে তদন্তকারী সংস্থাগুলি একটি চিঠি পেয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে এটি শুধু ট্রেলার ছিল।এই চিঠিতেই ইরানে দুই ইরানির হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, তারা সেনা কমান্ডার জেনারেল কাসিম সুলেমানির হত্যার বদলা নেবে। চিঠিতে পরমাণু বিজ্ঞানী আর্দেশিরের হত্যার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
ইরানের প্রথমসারির ওই পরমাণু বিজ্ঞানীকে ড্রোন-গানে হত্যা করা হয়েছিল। ইরান এই ঘটনায় ইজরায়েলকে দায়ী মনে করে। ২০২০-র ৩০শে নভেম্বর ওই পরমাণু বিজ্ঞানী ড্রোন হামলায় নিহত হন। এজন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট সরাসরি ইজরায়েলকে দায়ী করেছিলেন।
উল্লেখ্য, আট বছর পর দিল্লিতে কোনও বড় ধরনের বিস্ফোরণ হল। শেষবার দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল ২০১২-র ১৩ ফেব্রুয়ারি। ওই সময় ইজরায়েলি কূটনীতিকদের নিশানা করা হয়েছিল। দূতাবাসের কর্মচারী সহ ৪ জন জখম হয়েছিলেন। এর আগে ২০১১-র ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের বাইরে বিস্ফোরণ হয়েছিল। হাইকোর্টের বাইরে বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

Back to top button