দেশ

ঈশ্বরের কাছে বাবার প্রার্থনা গেল বিফলে! আরও ২ মাস তিহাড় জেলেই থাকতে হবে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাকে

মেয়ের জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই প্রার্থনায় কাজ হল না। আগামী আরও ২ মাস সুকন্যা মণ্ডলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আগামী ১২ই জুলাই ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

গরু পাচার মামলায় সুকন্যাকে একাধিকবার তলব করলেও হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে দিল্লি গিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাঁর ঠাঁই হয় তিহাড় জেলেই। সুকন্যা গত শনিবারই জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। সেই জামিনের আবেদনের মামলা গৃহীত হয়েছে। ২৬ মে সুকন্যা মণ্ডলের জামিন মামলার সওয়াল জবাব হতে পারে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে।

সুকন্যা মণ্ডলের ভোলে ব্যোম রাইস মিল এবং শিব শম্ভু রাইস মিলের নাম রয়েছে ইডির চার্জশিটে। আরও দু’টি সংস্থা রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়। একইসঙ্গে মনোজ মহনত নামে আরও এক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়।

ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সাড়ে ১১ কোটির নগদ এবং সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এখনও পর্যন্ত মোট ৩২ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবী, আবদুল লতিফ থেকে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিট, বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বয়ানের ভিত্তিতে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে।

তাদের সকলের বয়ান থেকে উঠে এসেছে গরু পাচারে অনুব্রতর ভূমিকা ঠিক কী ছিল। এর পাশাপাশি একাধিক বেনামী সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।

গত সপ্তাহেই তিহাড় জেলে মেয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে দেখে ভেঙে পড়েছিলেন বাবা-মেয়ে দু’জনেই। মেয়ের জামিন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল আদালত চত্বর থেকে অনুব্রত বলেছিলেন, “ঈশ্বর যেন মেয়ের বেলটা করিয়ে দেন”। কিন্তু সেই প্রার্থনা ব্যর্থই হল।

Back to top button
%d bloggers like this: