অবাক কাণ্ড! নম্বর বাড়াতে রিভিউতে দিয়েছিলেন, ফল বেরোতেই দেখা গেল ফেল করেছেন চার ডাক্তারি পড়ুয়া, অস্বস্তিতে কলকাতা মেডিক্যাল

কেউ কেউ ৭০-এর উপরে নম্বর পেয়েছিলেন তো কেউ কেউ আবার ৭০-এর কাছাকাছি। ডাক্তারিতে কোনও বিষয়ে যদি ৭৫-এর উপর নম্বর পাওয়া যায়, তাহলে সেই বিষয়ে অনার্স বলে গ্রাহ্য হয়। সেই কারণে নম্বর ৭৫ হবে, এই আশা নিয়ে পরীক্ষার খাতা রিভিউ করতে দিয়েছিলেন। কিন্তু ফল বেরোনোর পর যা দেখা গেল, তাতে মাথায় হাত ডাক্তারির চার পড়ুয়ার। দেখা গেল, আবেদনকারীদের সকলেই ফেল করেছেন।
এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটল খোদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। এমবিবিএস পাঠ্যক্রমের ফার্স্ট প্রফ অর্থাৎ দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে যাওয়ার পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, চার পড়ুয়া বায়োকেমিস্ট্রির উত্তরপত্র রিভিউয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন কারণ তাদের নম্বর ৭০ বা ৭০-এর কাছাকাছি ছিল। নম্বর ৭৫ হওয়ার আশায় রিভিউ করতে দিয়েছিলেন তারা।
কিন্তু তার ফল বেরোতে দেখা যায়, নম্বর তো বাড়েইনি, উল্টে নম্বর অনেক কমে গিয়ে ফেল করেছেন তারা। মেডিক্যালের ২৫০ জন পরীক্ষার্থী বায়োকেমিস্ট্রিতে গড়ে ৭৫% নম্বর পেলেও, এই চার জন ৭০% নম্বর পেয়েছিলেন। সেই কারণেই তারা রিভিউ করান। কিন্তু রিভিউয়ে দেখা যায়, তারা ৩০% নম্বর পেয়েছেন। আর পাশ করতে অন্তত ৫০% পাওয়া বাধ্যতামূলক।
এই ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিড়ম্বনার মুখে মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস ও উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী। গতকাল, বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বাস্থ্যভবন হয়ে রাজ্য স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে এ নিয়ে অনুযোগ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালের কাছে।
শিক্ষক ও চিকিৎসকদের একাংশও এই ঘটনায় বিস্মিত। উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী বলেন, “বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে”। জানা গিয়েছে, ওই চার ডাক্তারি পড়ুয়ার উত্তরপত্র ফের তৃতীয়বারের জন্য রিভিউতে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়মকের সঙ্গে দেখা করেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধানের কথায়, ওই চার পড়ুয়ার ফলাফল এমন হতেই পারে না। সূত্রের খবর, উত্তরপত্রগুলি দু’বার করে দেখা হয়েছে। তবে প্রতিটি উত্তর বিশদে দেখা হয়নি। প্রথমে যিনি দেখেছিলেন, সেটিই রয়েছে গিয়েছে।