ঘৃণ্য! নিজের ৮ বছরের মেয়েকে যৌ’ন হেনস্থা বাবার, ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিল আদালত

এমন ঘটনাও যে ঘটতে পারে, তা যেন কল্পনারও অতীত। নিজের ৮ বছরের ছোট্ট মেয়েকে যৌ’ন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। সেই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল মুম্বইয়ের এক পকসো আদালত।
কী ঘটেছিল ঘটনাটি?
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ঘটে এই ঘটনা।জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার মা ও দাদা মামার বাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সময় ফাঁকা ছিল বাড়ি। একাই বাড়িতে ছিল ওই বছর আটেকের নাবালিকা। কাজ সেরে বাড়ি ফেরে তার বাবা। ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে মেয়েকে যৌ’ন হেনস্থা করে সে।
নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, ৬টা বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়ির বাইরে থেকেই মেয়ের চিৎকার শুনতে পান। বাড়ি ঢুকে দেখেন তাঁর স্বামী মেয়েকে যৌ’ন নির্যাতন করছে। এরপরই স্বামীর কবল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে সোজা থানায় ছোটেন মা। স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কী সাজা শোনান বিচারক?
এই ঘৃণ্য অপরাধের সাজা শোনানোর সময় রায়দানের সময় সমাজকে কড়া বার্তা দেওয়ার কথা মাথায় রাখেন বিচারক। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের তাৎপর্যের কথা স্মরণ করে বিচারক মনে করিয়ে দিয়েছেন, সমাজে একজন বাবার অন্যতম ভূমিকা রক্ষকের। কিন্তু নির্যাতিতার সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ ও মানবতাবিরোধী কাজ করে তিনি যা করেছেন তা চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা।
বিচারক বলেন, “অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হচ্ছে। এই জঘন্য অপরাধ করার আগে এই সাজার কথা ভাববে মানুষ”।
অভিযুক্তের মুক্তির আবেদন জানান নির্যাতিতার মা
নির্যাতিতার মা আবার পরে অভিযুক্তের মুক্তির আবেদন জানান। দাবী করেন, তাঁর করা অভিযোগটি সত্য নয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জেলবন্দি হওয়ার ফলে পরিবারটি যে অর্থনৈতিক অসুবিধার মধ্যে পড়েছিল, সেই কারণেই এমন আবেদন করা হয়েছে বলে ধারণা।
আদালতের কী বক্তব্য
তবে বিচারক জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে স্পষ্ট মেয়েটির হাতে ও গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ও ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে নাবালিকাকে কীরকম নির্মমতার শিকার হতে হয়েছিল। অবশেষে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের রায় শোনাল আদালত।