দেশ

চোরের ভূমিকায় খোদ পুলিশই, থানায় বাজেয়াপ্ত করে আনা লক্ষ টাকার ম’দ চুরি করল পুলিশকর্মীই, গ্রেফতার ৫

জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই পুলিশ। জনগণের মূল্যবান জিনিস নিরাপত্তায় রাখার দায়িত্ব তাদের। কিন্তু সেই পুলিশই যদি চোরের ভূমিকা পালন করে, তাহলে কী আর প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু থাকে!

নানান সময় সিনেমায় দেখা ঘুষ খাওয়া পুলিশের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। নানান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। কিন্তু তা বলে থানায় বাজেয়াপ্ত করে আনা জিনিসপত্রই চুরি করে নেবে পুলিশ, এমনটাও হয়! হ্যাঁ, এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে বাস্তবে। থানায় বাজেয়াপ্ত করে আনা টেবিল ফ্যান, ম’দের বোতল-সহ লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি করে খোদ পুলিশকর্মীই।

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের মাহিসনগর জেলার কানপুর তালুকের বাকোর থানায়। থানা থেকেই দ্রব্য চুরি করার ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ। এদের মধ্যে এক সাব-ইন্সপেক্টরও রয়েছেন। তদন্ত সূত্রে খবর, টেবিল ফ্যানের বাক্সে ম’দ পাচার করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৪৮২ বোতল ভারতে তৈরি বিদেশি ম’দ। সঙ্গে ৭৫টি টেবিল ফ্যানও উদ্ধার করা হয়। সেই সমস্ত বাজেয়াপ্ত করা জিনিস রাখা হয়েছিল বাকোর থানার মহিলা লকআপে।

এরপরই বাজেয়াপ্ত করা জিনিসের নথি তৈরির সময় দেখা যায় যে বেশ কিছু ম’দের বোতল ও টেবিল ফ্যান চুরি গিয়েছে। হিসেব করে দেখা যায়, ১২৫ বোতল দামী ম’দ চুরি গিয়েছে। সেই ম’দের বাজার মূল্য প্রায় ১.৫৭ লক্ষ টাকা। চুরি গিয়েছে ১৫ ফ্যানও। এর বাজার মূল্য ৪০, ৫০০ টাকা।

এরপর এফআইআর থেকে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর এএসআই অরবিন্দ খান্তএই চুরির ছক কষেছিল। এই সবটাই ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। কনস্টেবল ললিত পারমারও ছিলেন অরবিন্দের সঙ্গে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় রাত দশটা নাগাদ ওই ম’দের বোতলগুলি সরাতে থাকে ওই পুলিশ কর্মীরা। এরপর সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অরবিন্দ, ললিত ও তাঁদের তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত এক স্থানীয় বাসিন্দা যিনি চুরিতে সাহায্য করেন তিনি আপাতত পলাতক বলে জানা গিয়েছে।

Back to top button
%d