চীনে করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই বড়সড় পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার, নতুন বছরেই লাগু হচ্ছে সিদ্ধান্ত, ফের লকডাউনের পথে দেশ?

চীনে কার্যত করোনার সুনামি এসেছে বলা যায়। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর বাড়বাড়ন্তের কারণে সে দেশে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। শি জিনিপিং-য়ের শূন্য করোনা নীতির কারণে তাঁর উপর ক্ষোভ বর্ষণ করেছে সেদেশের জনগণ। করোনার এই তেজ চিন্তায় ফেলেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারকেও।
শুধুমাত্র চীনই নয়, আচমকাই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে জাপানেও। বিশ্বে ফের নতুন করে যেন করোনার ত্রাস ফিরছে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার বড়সড় এক পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। গতকাল, বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে।
জানা গিয়েছে, এবার থেকে ছ’টি দেশ থেকে আগত নাগরিকদের জন্য আরটি পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। নতুন বছর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য টুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “চীন, হং কং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড থেকে আগত যাত্রীদের জন্য আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকেই এটি কার্যকর হবে”।
1 जनवरी 2023 से चीन, हांगकांग, जापान, साउथ कोरिया, सिंगापुर और थाईलैंड से आने वाले यात्रियों के लिए RTPCR टेस्ट अनिवार्य कर दिया गया है। यात्रा से पहले उन्हें अपनी रिपोर्ट एयर सुविधा पोर्टल पर अपलोड करनी होगी।
— Dr Mansukh Mandaviya (@mansukhmandviya) December 29, 2022
সরকারের তরফে ফের একবার আগের মতোই পদক্ষেপ নেওয়া হল। উক্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের সফরের পূর্বেই এয়ার সুবিধা পোর্টালে নিজেদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আপলোড করতে হবে। এর আগে আমেরিকার তরফেও এই একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। চীন থেকে আগত যাত্রীদের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৪০ দিন ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর হার অনেক কম হবে। হাসপাতালে ভর্তির হারও কম হবে বলে জানানো হ্যেচজে।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, “এর আগে দেখা গিয়েছিল, পূর্ব এশিয়ায় করোনা হওয়ার ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর ভারতে থাবা বসিয়েছিল ভাইরাস। এটিই ট্রেন্ড”। অন্য এক আধিকারিকের কথায়, “চীনের থেকে ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম। কারণ এখানে অধিক সংখ্যক মানুষই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও সঠিকভাবে টিকাকরণ হয়েছে”।