‘ট্রেনে কোনও অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না, সেই কারণেই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা’, দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মমতা

গতকাল, শুক্রবার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এখন সেই সেই এলাকা যেন মৃত্যুপুরী। এদিন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ট্রেনে অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না বলেই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলের বিরুদ্ধে এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
আজ, শনিবার দুপুরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ওড়িশার বালেশ্বরে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন তিনি। মমতার অভিযোগ, “রেলের কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। না হলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে না।” মমতা যখন এই অভিযোগ করছেন তখন তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিন মমতা বলেন, “রাজ্য সরকার হতাহতদের পাশে আছে। আমরা অ্যাম্বুলান্স ও মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছি। বাংলার বহু মানুষ এই ট্রেনে ছিলেন। আমাদের রাজ্যের বড় ক্ষতি”। এরপরই নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, একসময় রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক ট্রেনে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। যাতে একই লাইনে একাধিক ট্রেন চলে না আসে। কিন্তু এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনগুলিতে অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না।
মমতার কথায়, “অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না। তাই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পিছনে কিছু একটা কারণ রয়েছে। ভাল করে তদন্ত করে দেখা উচিত”।
মমতা এদিন বললেন, “আমরাও বাস দিয়েছি। কোনও পরিবারের কোনও সমস্যা থাকলে, স্বজনদের কোনও সমস্যা হলে আমাদের টিম রয়েছে। তাঁরা সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তাঁরা ওড়িয়া ভাষাও জানেন। তাঁরা আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতেও প্রস্তুত রয়েছেন”।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা ২৮০ পেরিয়ে গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০০-র বেশি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, বাংলার পক্ষ থেকে বালেশ্বরে চিকিৎসক, নার্স, উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। শনিবারও ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে বলে খবর।