অদ্ভুত বিচার! দেবী সরস্বতীর মূর্তি শোষণ মানসিকতার প্রতীক, প্রতিবাদে পুরস্কার নেবেন না বলে জানালেন সাহিত্যিক

বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলে যিনি পূজিত এবার তাঁকেই শোষণ মানসিকতার প্রতীক বললেন মারাঠি কবি যশোবন্ত মনোহর।
সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এক মরাঠি কবি সন্মান সমারোহ’র মঞ্চে দেবী সরস্বতীর মূর্তি থাকার জন্য পুরস্কার নেবেন না বলে সপাট জানিয়ে দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যেহেতু অনুষ্ঠানের আয়োজকরা ওঁর আপত্তির পরেও মঞ্চে দেবী সরস্বতীর মূর্তি রেখেছেন, এই কারণে তিনি অ্যাওয়ার্ড নেবেন না। যশবন্ত এও বলেন যে, এর আগেও তিনি মঞ্চে শুধুমাত্র দেবী সরস্বতীর মূর্তি থাকার কারণে একাধিক পুরস্কার গ্রহণ করেননি।
আপাত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের সাহিত্য সংস্থা বিদর্ভ সাহিত্য সঙ্ঘ যশবন্ত মনোহরকে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ১৪ই জানুয়ারি আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। সংস্থার তরফ থেকে মনোহরকে আমন্ত্রণ করার পর তাঁকে জানানো হয় যে, অনুষ্ঠানে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পুজো করা হবে।
তবে সাহিত্যিক যশোবন্ত মনে হয়, সোজাসুজি আয়োজকদের বলেন, ‘দেবী সরস্বতীর মূর্তি সেই শোষণ মানসিকতার প্রতীক, যেখানে মহিলা আর শূদ্রদের জ্ঞান প্রাপ্ত করার থেকে দূরে রাখে।’ যদিও আয়োজকরা ওঁর দাবি স্বীকার করবে না বলেও জানিয়ে দেন। একইসঙ্গে তাঁদের তরফে জানানো হয় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাতেও কোনও বদল আনা হবে না। আর এরপরই খ্যাতনামা এই সাহিত্যিক অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে তিনি আয়োজকদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লেখেন।
মারাঠিতে লেখা ওই চিঠির তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘আমি আশা করেছিলাম যে বিদর্ভ সাহিত্য সঙ্ঘ আমার বিচার আর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাববে আর তাঁদের অনুষ্ঠানে কিছু বদল আনবে। কিন্তু আধিকারিকরা আমাকে জানিয়ে দেন যে, মঞ্চে দেবী সরস্বতীর মূর্তি থাকবেই। আমি এই কারণে অনেক সন্মান আর পুরস্কার ছেড়ে দিয়েছি। আমি সাহিত্যে ধর্মের দখল স্বীকার করতে পারব না, আর এই কারণে আমি এই সন্মাকে স্বীকার করলাম না।’