দেশ

কম নম্বর দিয়ে ইচ্ছা করে ফেল করিয়েছে শিক্ষক, এই অভিযোগে অঙ্কের শিক্ষককে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর ফেল করা পড়ুয়াদের

এর আগে পশ্চিমবঙ্গে দেখা গিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করে পড়ুয়ারা কীভাবে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তেমন ধরণের একটি ঘটনাই ঘটল এবার। তবে এবার আর রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ নয়, বরং শিক্ষককেই গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটাল পড়ুয়ারা। নবম শ্রেণীর অঙ্ক পরীক্ষায় শিক্ষক কম নম্বর দিয়েছেন বলেই ফেল, এই অভিযোগে শিক্ষককে মারধর করল পড়ুয়ারা। এক অশিক্ষক কর্মীকেও একই শাস্তি দেওয়া হল কারণ তিনি ওয়েবসাইটে ওই ফলাফল আপলোড করেছিলেন। এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে শোরগোল।

গত সোমবার ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার শিডিউল ট্রাইব রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে। গত শনিবার ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল নবম শ্রেণীর ফল ঘোষণা করে। ফল বেরোনোর পর দেখা যায় স্কুলের ৩২ জন ছাত্রের মধ্যে ১১ জন ডিডি গ্রেড পেয়েছে। ডিডি মান আসলে অকৃতকার্যের সমতুল্য।

সেই রেজাল্ট দেখেই ক্ষেপে যায় ফেল করা পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, অঙ্কের শিক্ষক সুমন কুমার অঙ্ক পরীক্ষার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেন। আর সেই কারণেই তারা ফেল করেছেন। ইচ্ছা করে তাদের ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে পড়ুয়ারা। এই কারণে তারা সুমন কুমার ও অশিক্ষক কর্মী সোনেরাম চাউড়েকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় গোপিকান্দা থানার পুলিশ নিত্যানন্দ ভোক্তা জানান যে এই বিষয়ে স্কুল বা আক্রান্ত শিক্ষকের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তিনি বলেন, “ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরে আমি অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলাম। কিন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ তা খারিজ করে দিয়ে জানায় এতে ছাত্রদের কেরিয়ারের ক্ষতি হয়ে যাবে”।

এই ঘটনার পর গোপিকান্দার বিডিও অনন্ত ঝাঁ যান ওই স্কুলে। তাঁর কথায়, “ওই শিক্ষক আগে প্রধান শিক্ষকের পদে ছিলেন। অজ্ঞাত কারণে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। হতে পারে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে শত্রুতার সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। শান্তি বজায় রাখার জন্য দু’দিনের জন্য নবম ও দশম শ্রেণির ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত হবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: