
জলের অভাব মেটানোর জন্য গ্রামের নানান জায়গায় বসানো হয়েছিল হ্যান্ড পাম্প। কিন্তু সেই হ্যান্ড পাম্প থেকে চাপ দিলেই জল বেরোয় না। বেরিয়ে আসছে ম’দ। এমনই অদ্ভুত এক হ্যান্ড পাম্পের খোঁজ মিলল মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়। পুলিশের কাছে এই খবর যেতেই তদন্ত শুরু করেন তারা। হ্যান্ড পাম্পের আশেপাশের মাটি খুঁড়ে পুলিশ যা পেল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্য প্রদেশের গুণা জেলার ভানপুরা গ্রামেই খোঁজ মিলেছে এই অদ্ভুত হ্যান্ড পাম্পের। সেখানে নাকি কলটি পাম্প করলেই জলের বদলে উঠে আসছে মদ! কিন্তু মাটির নীচে মদ আসবে কোথা থেকে? রহস্য উদ্ধারেই পুলিশ তদন্তে নামে। মাটির খুঁড়ে দেখতে পান, হ্যান্ড পাম্পের ঠিক নীচেই রয়েছে বেআইনি মদের ঘাঁটি। বিপুল পরিমাণ বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয় ওই ঘাঁটি থেকে।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে গ্রামবাসীরা জলের জন্য ওই হ্যান্ড পাম্প ব্যবহার করতে গিয়ে দেখেন যে হ্যান্ড পাম্প থেকে জলের বদলে বেরোচ্ছে ম’দ। এই খবর সঙ্গে সঙ্গে গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এই খবর পেতেই সোমবার গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায়। ওই হ্যান্ড পাম্পের আশেপাশের মাটি খুঁড়ে দেখা যায় যে নিচে একটি গোপন কুঠুরি রয়েছে। সেখানে সাজানো থরে থরে ড্রাম। আর সেই ড্রামের ভরা ম’দ।
গুনার পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট পঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানান, “ওই হ্যান্ড পাম্পের সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে মাটির নীচে লুকানো কুঠুরিতে রাখা ড্রামগুলি যুক্ত করা ছিল। উপর থেকে পাম্প করলেই ড্রাম থেকে উঠে আসতো মদ। এভাবেই চলত মদের ব্যবসা”।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গোপন কুঠুরি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ম’দ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশি মদের ব্যবসায়ীরা পুলিশের নজর এড়ানোর জন্য মাটির নিচে ওই গোপন কুঠুরি তৈরি করেছিল। আর সেখানেই লুকিয়ে রাখা হচ্ছিল ড্রাম ভর্তি ম’দ। হ্যান্ড পাম্প ব্যবহার করে পাউচ ও ৫ লিটারের ড্রামে ম’দ ভরা হত। তারপর তা নানান জায়গায় পাচার করা হত।
তবে বেআইনি মদের ব্যবসার খোঁজ পাওয়া গেলেও এই ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা পলাতক। আশেপাশে জিজ্ঞাসাবাদ করে আটজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গ্রামের প্রায় প্রতি বাড়িতেই তৈরি করা হয় ম’দ। এর আগেও একাধিকবার তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল ওই গ্রামে, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।