শপিংমলের ভিতরে নামাজ পাঠ, পাল্টা ভজন গাইতে শুরু করল বজরং দলও, তুমুল চাঞ্চল্য ভোপালের মলে

কিছুদিন আগেই লখনউয়ের লুলু মলে নামাজ ও হনুমান চলিশা পড়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এই নিয়ে গোটা দেশেই বেশ প্রভাব পরেছিল।ন্তবে এই পরিস্থিতি বেশ কড়া হাতে সামাল দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এবার ফের সেই একই ধরণের ঘটনা ঘটতে দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। জানা গিয়েছে, সেখানকার একটি মলে কিছু মানুষকে নামাজ পড়তে দেখে পাল্টা ভজন গাইতে শুরু করেন হিন্দুত্ববাদীরা।
গতকাল, শনিবার ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা নিয়ে কেরল হাইকোর্টের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ এই ফল বেশ বিপজ্জনক ও সুদূরপ্রসারী হতে পারে। আর এসবের মাঝেই গতকালই বিকেলে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের একটি শপিং মলে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল, শনিবার বিকেলে ওই মলের মুসলিম কর্মীরা মলের ভিতরেই নামাজ পড়ছিলেন। সেই সময় মলে ঢুকে পাল্টা ভজন গাইতে শুরু করেন বজরং দলের কিছু সদস্য। এই ঘটনায় মলের ভিতরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
মল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছেযে গতকাল, শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ মলের বেশ কয়েকজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী কর্মী শপিংমলের নীচের তলায় ফায়ার এক্সিটের কাছে নামাজ পাঠ করছিলেন। ঠিক সেই সময়ই সেখানে বজরং দলের সদস্যরা উপস্থিত হন। তারা মলের ভিতরে নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তোলেন। তারা এই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও করতে থাকেন। এরপরই তারা গলা ছেড়ে ভজন গাইতে শুরু করেন।
উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় মলের কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে ভোপাল পুলিশ আসে ওই শপিং মলে। এই বিষয়ে বজরং দলের সদস্যদের বক্তব্য, “দীর্ঘদিন ধরে মলে নামাজ পড়া চলছিল। আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে ওখানে নামাজ পড়া হলে হনুমান চালিশাও পড়া হবে”।
অন্যদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে কোনও পক্ষের তরফেই কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দু’পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ভবিষ্যতে শপিং মলের ভিতরে যাতে এই ধরণের কোনও ধর্মীয় আচরণ বা বিধি পালন না করা হয়, তা নিশ্চিত করা হয়েছে মল কর্তৃপক্ষের তরফে।