দেশ

‘আপনার দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্যই দেশের এমন পরিস্থিতি, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, নূপুর শর্মাকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

নবী হজরত মহম্মদকে নিয়ে করা তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা দেশে কার্যত আগুন জলে উঠেছিল। নিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। কিন্তু এবার সেই মামলাতেই শীর্ষ আদালতে কাছে তীব্র ভর্ৎসনাএ মুখে পড়তে হল নূপুর শর্মাকে।

হজরত মহম্মদকে নিয়ে করা তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নানান রাজ্যের একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কলকাতার দুটি থানাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে। নিজের প্রানহানির আশঙ্কা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাঁকে স্পষ্ট জানায় যে তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কারণেই আজ দেশের এমন অবস্থা হয়েছে। তিনি অনেক দেরিতে ক্ষমা চেয়েছেন। এমনকি, নুপুর শর্মার আর্জিও শুনতে অস্বীকার করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

পয়গম্বর বিতর্কের জেরে গোটা দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। হজরত মহম্মদ সম্পর্কে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে দেশ তো বটেই, অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশগুলিতেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাঁর এহেন মন্তব্যের কারণে দল থেকে নূপুর শর্মাকে বহিষ্কৃত করে বিজেপি। নানান রাজ্যের একাধিক থানায় নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।

এমনকি, কলকাতার নারকেলডাঙ্গা থানাতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তলব করা হয় নূপুর শর্মাকে। যদিও সেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে নূপুর শর্মা আবেদন জানান যাতে সব মামলা এক জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি মামলায় সহযোগিতা করবেন। প্রাণহানির হুমকিও পান তিনি। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী।

আজ, শুক্রবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা পর্যবেক্ষণে জানান যে নূপুর শর্মার মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন। তিনি যখন ক্ষমা চেয়েছেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিচারপতিদের এও বলতে শোনা যায়, “যখন কারও বিরুদ্ধে এফআইআর হয়, তাঁদের গ্রেফতারির আওতায় আনা হয়। কিন্তু আপনাকে তো কেউ ছুঁতেই পারছে না”।

Back to top button
%d bloggers like this: