দিল্লির কর্তব্যপথে নামল একটুকরো শরৎ! ঢাক-শঙ্খধ্বনির আওয়াজ ও চণ্ডীপাঠের মাধ্যমেই কুচকাওয়াজ মাতাল বাংলার ট্যাবলো

ঢাকের তাল সঙ্গে চলল চণ্ডীপাঠ। দুর্গামূর্তির আদলে বানানো হল বাংলার ট্যাবলো। প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্য পথে যেন একটুকরো শরতের দেখা মিলল।
গত বছরের কুচকাওয়াজের প্যারেডে স্থান পায়নি বাংলার ট্যাবলো। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। নানান চর্চা-সমালোচনা সবই হয়। তবে এবার আর তেমনটা হল না। এই বছর বাংলার ট্যাবলোকে কুচকাওয়াজে জায়গা দিয়েছে দিল্লি।
আসলে গত বছর বাংলার দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তকমা দেওয়া হয়েছে ইউনেস্কোর তরফে। সেই কারণে এবারের কুচকাওয়াজে সেই দুর্গাপুজোকে থিম করেই ট্যাবলো সাজিয়েছে রাজ্য সরকার। এর ট্যাবলোর পোশাকি নাম ‘দুর্গা ও ক্ষমতায়ন’। এবারের কুচকাওয়াজে যে বাংলার ট্যাবলো আলাদা করে নজর কাড়ল। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ট্যাবলোর সামনের দিকটা তৈরি করা হয় মঙ্গল ঘটের আদলে। এরপরই মাতৃমন্দির। আর সেই মন্দিরেই অধিষ্ঠিত রয়েছেন সপরিবারে দেবী দুর্গা। সনাতনী ডাকের সাজেই সেজে উঠলেন মা। চলল ধুনুচি নাচ-চণ্ডীপাঠ। মায়ের সামনে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরিহিতা মহিলারা মাতলেন ঢাক ও শঙ্খধ্বনির তালে। যেন গোটা শারদীয়া উৎসবই ফের নেমে এল শীতের বিদায়কালেও।
The colourful tableaux of West Bengal, Maharashtra and Tamil Nadu at the Republic Day parade pic.twitter.com/8xeN90Hrmt
— ANI (@ANI) January 26, 2023
বলে রাখি, এই প্রথমবার দিল্লির কর্তব্যপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে শক্তি প্রদর্শন করল তিন সেনা। তিন সেনার অভিবাদন গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ও। ছিলেন মোদী মন্ত্রিসভার বহু সদস্য এবং বিরোধী নেতারাও।
এবারের কুচকাওয়াজে বাংলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যের ট্যাবলো ছিল। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট ফাট্টা আল সিসি। ঐতিহাসিকভাবে এবার কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছেন মিশরের সেনা জওয়ানরাও।