রাজ্য

রাখিতেও এবার লাগল ‘জয় বাংলা’ ছোঁয়া, সরকারি প্রকল্পের জন্য ৭ লক্ষ ‘জয় বাংলা’ লেখা রাখির বরাত পেল কালনার সংস্থা

আগামী ৩০শে আগস্ট রাখিবন্ধন উৎসব। এদিন দিদি, বোনরা নিজেদের ভাই, দাদার হাতে রাখি পরাবেন। বন্ধুবান্ধবরাও একে অপরের হাতে বেঁধে দেন ভরসার রাখি। এবার এই রাখিবন্ধন উৎসবে কালনার এক সংস্থা ৭ লক্ষ ‘জয় বাংলা’ লেখা রাখির বরাত পেল।

রাখি শিল্পে কালনার নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সেখানকার তৈরি রাখি শুধুমাত্র বাংলাই নয়, অন্যান্য রাজ্য এমনকি বিদেশেও রফতানি হয়। রাখির সংস্কৃতি উৎসব পালনে এবার সরকারি প্রকল্পের জন্য ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ‘জয় বাংলা’ লেখা রাখির বরাত পেয়েছে কালনার এক সংস্থা। এমন ঘটনায় খুব খুশি রাখি শিল্পীরা।

রাখি তৈরিতে কালনা বিশেষ উল্লেখযোগ্য জায়গা

রাখি শিল্পের সৌজন্যেই কালনায় ছোট-বড় নানান মাপের রাখি তৈরীর কারখানা গড়ে উঠেছে। কারিগর হিসাবে পুরুষরা থাকলেও এই শিল্পের মূল কারিগর মহিলারা। বাড়ির কাজ সামলে এই রাখিশিল্পের কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা রোজগারও করে থাকেন তারাও। কালনা মহকুমা এলাকায় থাকা রাখি তৈরীর কারখানাগুলির সঙ্গে বেশ কয়েক হাজার দক্ষ ও অদক্ষ শিল্পীরাও যুক্ত রয়েছেন।

রাখি তৈরির প্রশিক্ষণও দেয় সরকার

রাখি তৈরির বিষয়ে কারিগররা যাতে আরও দক্ষ হয়ে ওঠেন, সেই কারণে সরকারি তরফে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। উৎকর্ষ বাংলার উদ্যোগে এই বছরও কালনা উইভার্স অ্যান্ড আর্টিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় তেমনই একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। বিপুল এই রাখি তৈরির বরাত পেয়ে দিনরাত রাখি তৈরির কাজে নিজেদের যুক্ত রেখেছেন কালনার রাখি শিল্পীরা।

এই বিষয়ে কালনার ওই সংস্থার সম্পাদক তপন মোদক বলেন, “এইবারও রাজ্য সরকারের যুবকল্যাণ দফতরের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার জয় বাংলা লেখা রাখি ও খাদি দফতরের পক্ষ থেকে প্রায় দু’হাজার রাখির বরাত মিলেছে”।

তিনি আরও জানান, “অদক্ষ শিল্পীদের আরও দক্ষ করে তুলতে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর তাঁদের শিল্পনৈপুণ্যেই রাখি তৈরি করা হয়।এবারেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাখী তৈরীর বরাত মেলায় আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ”।

Back to top button
%d bloggers like this: