যাদবপুর কাণ্ডের পর তৎপর! বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হোস্টেলের ব্যবস্থা, ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে বসছে সিসিটিভিও

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্য তোলপাড়। কলেজ হোস্টেলে যাতে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা হেনস্থার শিকার না হয়, সেই কারণে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে তৎপর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কারণেই প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য থাকছে আলাদা হোস্টেল। ক্যাম্পাস র্যাগিংমুক্ত করতেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?
জানা গিয়েছে, প্রতি হোস্টেলে বহিরাগত রুখতে হস্টেলের প্রতিটি রুমের নাম্বারিং করার পাশাপাশি রুমগুলিতে কোন কোন ছাত্র থাকছে তার তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকা নোটিশ বোর্ডে লাগানো হবে। সেই তালিকা হস্টেলের স্টুয়ার্ড, সুপার ও নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে থাকবে।
তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত ওই তালিকার বাইরে কারা হোস্টেলগুলিতে ঢুকছে, কখন কারা বেরোচ্ছে, কোন রুমে যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে দেখা করছে সেইসব কিছুই নথিভুক্ত করা হবে রেজিস্টার-বুকে। নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নামের তালিকা দেওয়া থাকবে। কড়াভাবে রেজিস্টার মেনে চলার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
বলে রাখি, যাদবপুরের ঘটনার পর গত ১৪ আগস্ট বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বহিরাগত ছাত্রদের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বহিরাগত ও প্রাক্তনীদের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর গতকাল, বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আশীষ পাণিগ্রাহী একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই স্থির হয় যে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদ হোস্টেলের ব্যবস্থা করা হবে। ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
কী জানান সহ-উপাচার্য?
সহ উপাচার্য বলেন, “আমরা হোস্টেলগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। সেরকম ঘটনার খবরও আমাদের কানে আসেনি। বহিরাগতরা থাকে বলে লিখিত কোনও রিপোর্ট নেই। তবে যাদবপুরের ঘটনার পর আরও ভালোভাবে হোস্টেল পরিচালনায় আমরা বৈঠক করি। আলোচনা হয়েছে সিসিটিভি নিয়ে। অন্তত হোস্টেলের প্রবেশ বেরোনোর পথে যদি তা বসানো যায়। আর প্রথম বর্ষের ছাত্রদের আলাদা হোস্টেলে রাখার জন্য চিন্তাভাবনা করছি। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড নিয়ে আগামী সোমবার আবারও বৈঠকে বসব”।