রাজ্য

আচমকাই একশো কোটি টাকার মালিক হলেন দিনমজুর, ব্যাঙ্ক ব্যাল্যান্স চেক করতেই চক্ষু চড়কগাছ, ঘুম উড়েছে দেগঙ্গার যুবকের

জীবনে কোনওদিন একসঙ্গে এক লক্ষ টাকা দেখেন নি। বিশ-ত্রিশ হাজার জমালেও তা প্রয়োজনে খরচ হয়ে গিয়েছে। দেগঙ্গার সেই দিনমজুরই এবার একশো কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন। আর তা জানার পর থেকেই যেন চোখের ঘুম উড়েছে তাঁর।

দেগঙ্গার চৌরাশি পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ নাসিরুল্লা মণ্ডল। তিনি পেশায় দিনমজুর । বাবা, মা, স্ত্রী এবং দুই ছেলে, মেয়ে নিয়ে সংসার মহম্মদের। দিন দুয়েক আগে অন্যের একটা আমবাগানে দিনমজুরের কাজ করছিলেন তিনি। সেই সময় দেগঙ্গা থানার দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার তাঁকে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইমের তরফে পাঠানো একটি নোটিশ দেয় বলে জানা যায়।

তিনি সেই নোটিশের বিষয়বস্তু বুঝতে পারেন নি। সেই কারণে তা জানতে প্রতিবেশী শিক্ষিত এক যুবকের দ্বারস্থ হন মহম্মদ। তখনই তাঁর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কোনও গড়মিল হওয়ার কথা জানতে পারেন। নোটিশে তাঁকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ৩০শে মে-র মধ্যে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে দেখা করতে বলা হয়। তখনই মোবাইলে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে মহম্মদ দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকার থেকে এক পয়সা কম রয়েছে।

এরপর থেকেই বেশ বিপদের মুখে পড়েছেন মহম্মদ। খাওয়াদাওয়া মাথায় উঠেছে তাঁর। কীভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এত টাকা এল, তার কোনও হদিশ পাচ্ছেন না তিনি। মহম্মদ নাসিরুল্লা মণ্ডলের কথায়, “আমি খেতমজুরের কাজ করি। রাতারাতি কীভাবে এত পরিমান টাকা আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল বুঝতে পারছি না। এই টাকা আমার নয়। ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। আমি চাই পুলিশ বিষয়টি সমাধান করুক”।

এই বিষয়ে নাসিরুল্লার দাদা মহম্মদ মোস্তাকান আহমেদ বলেন, “আমাদের পরিবারের কেউই ১ লক্ষ টাকা একসঙ্গে দেখিনি। ভাইও অন্যের আমবাগানে কাজ করে। তার পক্ষে ৫০ হাজার টাকা জমানোর সামর্থ নেই। আমরা চাই জঙ্গিপুরে না গিয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশই সমস্যার সমাধান করুক”।

Back to top button
%d bloggers like this: