রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের বড় ভাঙন শাসকদলে! দু-চারজন নয়, গোটা গ্রামই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিল বিজেপিতে, অস্বস্তি ঘাসফুল শিবিরে

শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও যে তার আর বেশিদিন বাকি নেই, তা বেশ স্পষ্ট। আর এর আগে শাসক দলের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে নামল বড় ধস। দু-চারজন নয়, একটা গোটা গ্রামের লোকজনই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিল বিজেপিতে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রাইপুর ব্লকের ঢেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবনি গ্রামে।

২০১১ সালের পর থেকেই বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক একচেটিয়াভাবেই তৃণমূলেরই ছিল। একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূলকে নিরঙ্কুশভাবে জিতিয়েছেন জঙ্গলমহলের আদিবাসী মানুষেরা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় কার্যত গেরুয়া ঝড় উঠেছিল। কিন্তু তবুও বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের রাইপুর, রানীবাঁধ ও তালডাংরায় আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রেখেছিল তৃণমূল।

কিন্তু এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সেই আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্কেই বড় ধস নামল। গতকাল, বুধবার জঙ্গলমহলের রাইপুর ব্লকের ঢেকো অঞ্চলের শালবনি গ্রামের গোটা গ্রামই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেয় বিজেপিতে। তাদের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ পাত্র। দলবদল করার বিষয়ে গ্রামবাসীদের দাবী, তারা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করলেও শালবনি গ্রামে কোনও উন্নয়ন হয়নি। সেই থেকে ক্ষোভের বশেই তারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

এই যোগদান নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবী, তৃণমূল যে চুরি-দুর্নীতি করছে, সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছে। আর বিজেপি যে আদিবাসীদের প্রকৃত বন্ধু তা বুঝতে পারার ফলেই আদিবাসীরা বিজেপিতে আসছেন।

দলে এই ভাঙনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূলও। তৃনমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবী, “গ্রামে আদিবাসী সেলের এক নেতার দুর্ব্যবহারের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি দলীয় ভাবে পর্যালোচনা করে ওই গ্রামের মানুষকে ফের তৃণমূলে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: