’৬০ দিন ছাড়ুন, ৬ দিন রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে থাকুন, তাহলে বুঝব’, তৃণমূলের ‘সংযোগ যাত্রা’ নিয়ে কটাক্ষ করায় বিজেপিকে পাল্টা দিলেন অভিষেক

‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। কারোর কথায়, জনবিচ্ছিন্ন নেতারা মন বুঝতে মাটিতে নেমেছে তো আবার কেউ বলছেন যে শাসক দল নাকি ভয় পেয়েছে। এবার আজ, মঙ্গলবার দিনহাটার সাহেবগঞ্জের সভা থেকে বিরোধীদের জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোগ যাত্রা। তা চলবে আগামী দু’মাস। রাজ্যের ৩ হাজারেরও বেশি পঞ্চায়েতে যাবেন তৃণমূল নেতা। আগামী ৬০ দিন পরিবার ছেড়ে জেলায় জেলায় ঘুরবেন তিনি। রাস্তার ধারেই তাঁবু খাটিয়ে থাকবেন। তাঁর এই কর্মসূচিকে নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের কথায়, “নতুন তৃণমূল হয়েছে। মমতার তৃণমূল হয়তো উঠে গিয়েছে। ওই নেতারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যে নেতারা সিবিআই ডাক পাচ্ছেন, তাদের কুশল হাল জানতে গিয়েছেন হয়তো। দলে পুরনো লোক আর কে কে আছে হয়তো সেটাই দেখতে গিয়েছেন”।
তাঁর সংযোজন, “আমার তো মজা লাগছে, এই প্রথম এই রাজনীতি শুরু হল, যে প্রার্থী কাকে চাই। ওঁরা আগে ঘোষনা করেছিলেন ৬০ হাজার প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি ঠিক করবেন। এতদিন কারা ঠিক করত? এখন বলছে মানুষ ঠিক করবে! প্রতিবার এ ধরনের ভাঁওতাবাজি রাজনীতি দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হয়”।
এবার তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ঘর-বাড়ি, পরিবার ছেড়ে ৬০ দিন রাস্তায় থাকব। রাস্তায় নামার দরকার ছিল না। কিন্তু আমরা যে কথা দিই তা রাখি। তাই আপনাদের কাছে এলাম। কিছু মানুষ ভেবেছি, অভিষেক তো বলেছে প্রার্থী মানুষ বাছবে। কিন্তু কাজে হবে কী? সেটাই যাতে হয় তার জন্য এসেছি”।
তিনি আরও বলেন, “২০২৬ পর্যন্ত সরকার আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ বার মুখ্যমন্ত্রী। আবার চতুর্থবার জিতবেন। কিন্তু পঞ্চায়েতে মানুষের প্রতিনিধি না থাকলে সেখানে পরিষেবা বাধা পাবে। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অবাধ নির্বাচন হোক। তার জন্য প্রার্থী তৃণমূল ঠিক করবে না। আপনারা যাকে প্রার্থী ঠিক করবেন দলের সর্ব শক্তি দিয়ে তাকে জিতিয়ে আনা হবে। পঞ্চায়েতের পাহারাদার থাকবে”।
উল্লেখ্য, কর্মসূচিতে সামান্য বদল এনেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন ঠিক ছিল যে তাঁবুতে জেলা অধিবেশনে গোপন ব্যালেটে ভোট হবে। তবে এদিন তিনি জানান যে প্রতিদিন সভা শেষে হবে গণভোট। সাধারণ মানুষ গোপন ব্যালটে পঞ্চায়েতের পছন্দের প্রার্থীর নাম জানাতে পারবে। কেউ যদি গোপন ব্যালটে ভোট দিতে না পারেন, তাহলে তিনি বা তারা ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম জানাতে পারবেন।