‘রাজনীতিতে সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’, বিজেপি থেকে কতজন যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে? বাইরনের ঘাসফুলে যোগের পর ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক

চিত্রটা যেন অনেকটা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতো। সেই সময় নির্বাচনের আগে কাতারে কাতারে তৃণমূল নেতারা ভিড় করেছিলেন গেরুয়া শিবিরে। অবশ্য ফলপ্রকাশের পর অনেকেই ঘর ওয়াপসি করেছেন। এবার আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন। এর আগে রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে দলে টেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কী তবে বিজেপি থেকেও লোকজন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পালা? কী বলছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড?
তৃণমূলের যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপি থেকেও কী নেতাদের ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? আজ, সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই প্রশ্ন করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য দরজাটা খুলিনি। একটু ফাঁক করলে অনেকেই গলে যাবে”।
এক্ষেত্রে স্ক্রিনিং তত্ত্ব তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি বলেন, “স্ক্রিনিং করে নেওয়ার প্রশ্ন রয়েছে। তাই বিজেপির যাঁরা যোগাযোগে রয়েছেন, তাঁদের বলি, রাজনীতিতে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর কাছে হার হয়েছিল তৃণমূলের। এর জন্য যে শাসক দল বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর মাঝে কেটেছে মাত্র তিনমাস। আর এরই মধ্যে সেই কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে তৃণমূলে টেনে রাজনীতির ময়দানে এক বড় বার্তা দিল তৃণমূল, তা বলাই যায়।
অভিষেকের কথায়, “ব্যাটটা সঠিকভাবে যখন বলে লাগে, তখন চার কিংবা ছয় হয়। তাই যখন দরজা খোলা হবে, বিজেপির থেকেও নিশ্চিত অনেকে ঢুকে যাবেন”। এক্ষেত্রেও যে সময়টাই গুরুত্বপূর্ণ, তেমনটাই বোঝাতে চাইলেন তৃণমূল নেতা।
তবে বিজেপি থেকে যে অনেকেই তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রেখেছেন, তেমন ইঙ্গিতও এদিন দিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাদের কবে তৃণমূলে নেওয়া হবে বা আদৌ নেওয়া হবে কী না, সে জল্পনা জিইয়েই রাখলেন তিনি। গোটা বিষয়টাই ছেড়ে দিলেন’ সময়ের’ হাতে।