রাজ্য

‘মুখ্যমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা’, অভিষেকের মন্তব্যে কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বললেন, ‘অবশ্যই যাব’, কী চলছে সাগরদিঘির রাজনীতিতে?

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জামানত জব্দ হয়েছে শাসক দল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত সেই এলাকা থেকেই বিশাল ভোটের ব্যবধানে হার হয়েছে তৃণমূলের। সেখানে জিতে বিধায়ক হয়েছেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। তবে এবার সাগরদিঘিতে হারের পর মুর্শিদাবাদে প্রথম সভা করতে গিয়ে বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে বিশেষ বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বার্তায় আবার সম্মতিও জানালেন নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক।

মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে জনজোয়ারে ভেসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রানিনগরে জনসভা করেন তিনি। সেখান থেকে উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক। এই সভা থেকে বায়রন বিশ্বাসকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন কাজে কোনও সমস্যা হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলতে পারেন তিনি।

এদিন অভিষেক বলেন, “সাগরদিঘিতে কংগ্রেসে এমএলএ জিতেছেন। আমি অনুরোধ করব যাতে আগামীদিনে য়াতে সাগরদিঘি উন্নয়ন হয় তা তিনি যেন দেখেন। যদি কাজে কোনও অসহযোগিতা হয় তাহলে বিধানসভায় তিনি যান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। কেউ বারণ করছে না”।

অন্যদিকে আবার মমতা অভিযোগ তুলেছেন যে সাগরদিঘিতে টাকার খেলা চলেছে। সেই বিতর্ক এখনও শেষ হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের চোখ কিন্তু সাগরদিঘির সাধারণ ভোটারদের উপর রয়েছে। কারণ শেষ উপনির্বাচনে তাদেরই একটা বড় অংশ ঘাসফুল শিবিরের থেকে মুখ ফিরিয়েছে। 

অভিষেকের এহেন মন্তব্য শুনে বায়রন বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে এই কথা শুনে খুবই ভাল লাগলো। বেশ নিরপেক্ষভাবে উনি ওই কথাটি বললেন। আমি অবশ্যই যাব”।

বলে রাখি, কিছুদিন আগে সাগরদিঘিতে অভিযোগ উঠেছিল যে সেখানে তৃণমূলের হারের পর সেখানেকার মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। এই নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। যদিও তৃণমূলের দাবী ছিল, এসব অভিযোগ মিথ্যে। তবে বিরোধীরা শাসক দলের দ্বিচারিতা নিয়ে অনড় ছিলেন। এবার অভিষেকের এহেন মন্তব্যকে এবশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Back to top button
%d bloggers like this: