রাজ্য

‘দু’মাস রাস্তায় থাকব, বাড়ি ফিরব না, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী নিজেরাই বেছে নিন’, তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে বিশদে জানালেন অভিষেক

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। আর এর আগে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে নানান রাজনৈতিক দলগুলির তরফে। নানান পরিকল্পনা নিয়ে তৃণমূল সামনে এনেছে নতুন কর্মসূচি- ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ (Trinomooler Nabajoyar)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার জনমতের ভিত্তিতেই বাছাই হবে প্রার্থী। আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবন থেকে নতুন এই কর্মসূচির সূচনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

এদিন অভিষেক বলেন, “নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ এর আগে বাংলা কেন, ভারতে কখনও কোথাও হয়নি। এটা হবে মানুষের পঞ্চায়েত। ৬০ হাজার গ্রামীণ বুথে মানুষের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হবে। গোপন ব্যালটে আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে আমি দু’মাস রাস্তায় থাকব। কলকাতায় ফিরব না”।

তৃণমূলের এই নয়া কর্মসূচির একটি অংশ হল ‘গ্রাম বাংলার মতামত’। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত এই জনসংযোগ যাত্রা করবেন অভিষেক। এদিন কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করে দেন তিনি।  

তৃণমূলের সেই নতুন কর্মসূচি কী, দেখে নেওয়া যাক-

  • ২৪ এপ্রিল রাতে কলকাতা থেকে কোচবিহার যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • এরপর দিন মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু কর্মসূচি। এরপর দিনহাটা, থেকে মাথাভাঙা সফর। এই জেলায় ২ দিন থাকবেন তিনি।
  • প্রতিদিন সকাল ১০টায় বেরিয়ে ৩-৪টি জনসভা করবেন। ক্যাম্পে ফিরবেন সন্ধেবেলা ৬টায়। ওই জেলার ক্যাম্পে বুথ সভাপতিকে ডাকা হবে।
  • ৩০০০-৪০০০ মানুষকে ডেকে কথা বলার পর গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন তাঁরা। কোনও নাম বা ফোন নম্বর থাকবে না। কাকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চান, তা গোপন ব্যালটে লিখে দেবেন জনগণ। সেই ভিত্তিতেই প্রার্থী বাছাই হবে।
  • কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে আসবেন অভিষেক।
  • সেখান থেকে বীরভূম দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলে ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’ শুরু হবে।
  • ২৪ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এই কর্মসূচি শেষ হবে।

‘দু’মাস রাস্তায় থাকব, বাড়ি ফিরব না, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী নিজেরাই বেছে নিন’, তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে বিশদে জানালেন অভিষেক 2

অনেকেই তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচির সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে সেই তুলনা খারিজ করে অভিষেক বলেন, “আমরা কংগ্রেসের মতো পায়ে হেঁটে বাংলা ঘুরব না। সেটা ২ মাসে করা একেবারেই অসম্ভব। আমরা পঞ্চায়েত স্তরে মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বোঝার চেষ্টা করব, তাঁরা প্রার্থী হিসেবে কাকে চান। সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এমন প্রার্থী চাই, যিনি গ্রীষ্ম-শীত-বর্ষা সারাবছর ধরে মানুষের হয়ে কাজ করবে”।

তাঁর সংযোজন, “আমি বুথে বসে ভাবছি, আমার পঞ্চায়েতে দাঁড়ালে দুর্নীতি হবে না, সব পরিষেবা পাব। এটা বড় সুযোগ। এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। দলের সুপারিশের উপর হল মানুষের সুপারিশ। এর মধ্যে মানুষের মতামত নেওয়া হবে। আর এটাই নবজোয়ার”।

Back to top button
%d bloggers like this: