‘মানুষের ক্ষোভ আমাদের কাছে আশীর্বাদ’, ‘দিদির দূত’দের ঘিরে আমজনতার বিক্ষোভ প্রসঙ্গে পাল্টা দিলেন অভিষেক

নানান এলাকায় গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন ‘দিদির দূত’রা (Didir Dut)। আর এর জেরে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে এই ঘটনাকে বিক্ষোভ বলতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার সেই একই সুর শোনা গেল তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গলাতেও। তাঁর কথায়, “মানুষের ক্ষোভ আমাদের আশীর্বাদ”। এমনকি, তিনি নিজের দূত হয়ে মানুষের কাছে যাবেন বলেও জানান তৃণমূল নেতা।
গতকাল, শনিবার ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। অভিযোগ উঠছে, দিদির দূতেরা গ্রামে-গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। নানান সরকারি প্রকল্পের বকেয়া কাজ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা।
কিন্তু এই অভিযোগকে ক্ষোভ হিসেবে দেখতে রাজি নন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “মানুষের ক্ষোভ আমাদের আশীর্বাদ। মানুষ যার কাছে আশা করে, তাঁর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে”।
অভিষেক আরও বলেন, “তৃণমূল মানুষের কাজ করে। শুধু ভোটের জন্য় রাজনীতি করে না। অন্যরা তো ভোটের পাখি। ভোটের সময় আসে। তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে। করোনা, ইয়াস, আমফানের সময় রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে থেকেছি আমরা সকলে”।
এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, “রাজ্যে বিজেপির বহু সাংসদ রয়েছে। তাঁরা তো কেউ নিজের এলাকায় যায় না। ১১ মাস তাঁরা দিল্লিতে থাকে। তাহলে মানুষ তৃণমূলকে ক্ষোভ জানাবে না তো কাকে জানাবে”।
বলে রাখি, গত ২রা জানুয়ারি তৃণমূলের মেগা বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী এলাকায় এলাকায় গিয়ে আমজনতার অভাব-অভিযোগ শুনবেন ‘দিদির দূত’রা। তবে নানান তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা ‘দিদির দূত’ হয়ে নানান এলাকায় যেতেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখ পড়ছেন তারা।