‘দু’দিন সময় দিলাম, কাজ না হলে পদ থেকে সরিয়ে দেব’, উদয়ন-রবীন্দ্রনাথকে কার্যত ‘ধমক’ দিলেন অভিষেক

তৃণমূলের ভার্চুয়াল বৈঠকে উদয়ন গুহ (Udayan Guha) ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে (Rabindranath Ghosh) কার্যত ধমক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দলের কাজে অবহেলা, দলের মধ্যে কোন্দল ও নানান ইস্যু নিয়ে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) এই দাপুটে দুই তৃণমূল নেতাকে কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক। দ্রুত নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া পরামর্শ দেন তিনি। এই নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে অভিষেক এও বলেন যে সমস্যা না মেটালে পদাধিকারীদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
গতকাল, সোমবার সাংগাঠনিক জেলার সভাপতিদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সিও। তাঁদের অভিযোগ, “অনেক বিধায়কই কাজ করেননি”।
এরপরই উদয়ন গুহ ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের উদ্দেশে অভিষেকের প্রশ্ন, “আপনাদের এলাকায় কেউ কেন যেতে পারবে না? জলপাইগুড়ির দুটো অঞ্চলে ব্লক সভাপতির সাথে অঞ্চল সভাপতির ঝামেলা কেন? কেন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি করেননি”? সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন অভিষেক। বলেন, “দুটো দিন সময় দিলাম। কাজ না হলে পদ থেকে সরিয়ে দেব”।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। সমস্যা শুধুমাত্র জলপাইগুড়িতেই নয়, রয়েছে অনেক জায়গাতেই। অনেক জায়গাতেই পূর্ণ ব্লক, অঞ্চল বা জেলা কমিটি গঠন হয়নি। এদিন অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে ১২ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি ও ২৪ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ অঞ্চল কমিটি গঠন করতেই হবে।
এদিন জেলা সভাপতিদের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, “যে পদাধিকারী ইগো নিয়ে বসে থাকবেন। ছোটখাটো সমস্যার সমাধান করবেন না। তাঁরা দল ছেড়ে চলে যান”। ব্লক সভাপতিদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, “আচ্ছা, আপনারা বুথ কর্মীদের খোঁজ কেন রাখেন না? তাঁদের আপনারা কী ভাবছেন? অফিসে বসে হোয়াটসঅ্যাপে দল চলবে না কি? পরের ভোটে জিতবেন কী করে? মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়ান”।
শুধু তাই-ই নয়, এদিন অভিষেক পরামর্শ দেন যাতে ব্লক সভাপতিরা নিয়মিত বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এদিন বিধায়কদেরও কড়া বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, “বিধায়করা ভাববেন না আপনার নির্বাচনী এলাকা আপনাদের পৈতৃক সম্পত্তি। মানুষ না চাইলে,ভগবান চাইলেও জিততে পারবেন না”।