‘সবথেকে বড় কয়লা চোর, হেরে গিয়ে দলে ফেরার জন্য হাতে-পায়ে ধরেছিল’, নাম না করেই প্রকাশ্য সভা থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে খোঁচা অভিষেকের

কয়লা পাচার নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এই নিয়ে একহাত নিলেন তিনি। প্রকাশ্য সভায় নাম না করেই জিতেন্দ্রকে ‘সব থেকে বড় কয়লা চোর’ বলে দাগলেন অভিষেক। এর পাশাপাশি সিবিআই ও বিজেপিকেও আক্রমণ করেন তিনি।
কয়লা কাণ্ডে এর আগেও নাম জড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লি গিয়ে ইডি-র দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। কয়লা কাণ্ডে তাঁর যুক্ত থাকার অভিযোগ বারবার তুলে এসেছে বিরোধীরা। এবার দুর্গাপুরে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে গিয়ে সভা থেকে এই কয়লা চুরি নিয়ে মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ। দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানার লাউদোহা ফুটবল মাঠের জনসভায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম না করে কটাক্ষ করেন অভিষেক।
তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি করবে কয়লা চুরির তদন্ত? তাঁর নাম করে আমি এই সভা কলুষিত করতে চাই না। কিন্তু এই জেলার সবথেকে যে কয়লা চোর যাকে আপনারা প্রাক্তন করে দিয়েছেন সে বিজেপিতে ঢুকে আবার টিকিট পেল। হেরে গিয়ে একশোবার হাতে পায়ে ধরেছিল তৃণমূলে ঢোকার জন্যে। কিন্তু যারা দলের সঙ্গে বেইমানি করে দল তাদের আর নেয় না”। তাঁর খোঁচা, “লোক চুরি করে জেলে যায়। আর বড় চোর চুরি করে বিজেপিতে যায়”।
এখানেই শেষ নয়, বিজেপির সঙ্গে অনেক কয়লা মাফিয়াদের যোগ রয়েছে বলে এদিন দাবী করেন অভিষেক। বলেন, “জয়দেব খা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বসে শিবের মাথায় জল ঢালছে। ওর হোটেলে বসে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলছে কফি খাচ্ছে”।
কিছুদিন আগেই শ্যুটআউটে মৃত্যু হয়েছে কয়লা মাফিস রাজু ঝাঁ-র। অভিষেকের দাবী, সেই রাজু ঝাঁ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সিবিআই ও বিজেপিকে একযোগে শানিয়ে এদিন অভিষেক বলেন, “যে সিবিআই রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, নারদা, সারদা, জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত করতে পারে না, তারা করবে কয়লা চুরির তদন্ত”।