রাজ্য

নিজে হুইলচেয়ারে বসে! কত মায়ের কোল আপনার জন্য ফাঁকা হয়েছে জানেন? রানিবাঁধের সভা থেকে মমতাকে প্রশ্ন শাহ্’র

শিয়রে ভোট‌। রাজ্য সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণের সমর্থনে খড়গপুরের রোডশোতে ঐক্যবদ্ধ বিজেপির বার্তা দিয়েছেন তিনি।

আর আজ সপ্তাহের প্রথম দিনে জঙ্গলমহলের দুই জেলায় সভা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হেলিকপ্টার বিভ্রাটের জেরে ঝাড়গ্রামের সভায় পৌঁছতে না পেরে ভার্চুয়াল সভা করেছেন তিনি। আর তারপর বাঁকুড়ার রানিবাঁধে দেরি করে হলেও পৌঁছে যান শাহ্।

এদিন রানিবাঁধে ভোটপ্রচারে এসে আদিবাসীদের একাধিক প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপির চাণক্য।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন নন্দীগ্রামে পায়ে চোট লাগার ঘটনা নিয়েও।প্রথমেই মমতার ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্বের প্রসঙ্গে টেনে খোঁচা দেন এই দুঁদে বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, ‘ঝাড়গ্রামে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টার সত্যিই খারাপ হয়েছিল, আমি কিন্তু এটাকে কোনও ষড়যন্ত্র বলব না। হেলিকপ্টার মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যায়’।

এদিন বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিদান নেওয়ার বার্তা দিয়ে ফের একবার শাহের মুখে শোনা যায় মমতার পায়ে চোট লাগার প্রসঙ্গ। শাহ বলেন, ‘পায়ে চোট লেগে দিদি আহত হয়েছেন। হুইল চেয়ারে করে ঘুরছেন। আপনার পায়ের চোটে ব্যথা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, কোনও ষড়যন্ত্র নেই। এটা দুর্ঘটনা। আপনাকে প্রশ্ন করছি, যে ১৩০ জন বিজেপি কর্মীর আপনার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মায়েদের ব্যথা বুঝতে পারেন?’ কতজনের কোল খালি করেছেন আপনি তা জানেন?

আর‌ও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নামে মামলা, মমতার প্রার্থীপদ বাতিল?

এর পরই ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘গরিবের জন্য মোদিজি চাল পাঠান, সেই চাল তৃণমূল খেয়ে নেয়। আমফানের টাকা চুরি হয়েছে, দুর্নীতি বেড়েছে তৃণমূলের আমলে। কমিউনিস্টরা যাওয়ার পর ভেবেছিলাম রাজনৈতিক হিংসা কমবে। কিন্তু তৃণমূলের আমলে ১৩০ জন বিজেপি কর্মী মারা গিয়েছেন।’

তৃণমূল সরকারকে বারংবার নিশানা করে অমিতের দাবি, ‘১০ বছর ধরে রাজ্যে কাটমানির সংস্কৃতি চলছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও অনুপ্রবেশ ও কয়লাচুরি হচ্ছে।’
এরপরই আশ্বাসের সুরে অমিতকে বলতে শোনা যায় রাজ্যে ভাজপা সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই ‘আদিবাসীরা বন্য অধিকার আইনের সুবিধা পাবেন। প্রতিটি ঘরে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে। সপ্তম বেতন কমিশনের মান পাবেন রাজ্যবাসী। ঝাড়গ্রামে আদিবাসী স্মৃতি সংগ্রহশালা তৈরি হবে। একলব্য মডেল স্কুল তৈরি হবে। রেললাইন, মন্দির সংস্কারের ক্ষেত্রে আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করবে বিজেপি।’
Back to top button
%d bloggers like this: