রাজ্য

চলতি সপ্তাহেই বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, বিশেষ নজর অনুব্রতহীন বীরভূমে, সিউড়িতে সভা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গরু পাচার মামলায় (cattle smuggling case) আপাতত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বর্তমান ঠিকানা তিহাড় জেল। এখন তাঁর গড় অভিভাবকহীন। ফলে এই গড়ে বিশেষ নজর দিচ্ছে শাসক-বিরোধী উভয়ই। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে আপাতত বীরভূমের সংগঠনের দায়িত্ব নিজেই সামলাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার অনুব্রতর গড়েই সভা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। নববর্ষের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল, শুক্রবার তিনি বীরভূমের সিউড়িতে জনসভা করবেন। পয়লা বৈশাখ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রয়েছে সাংগঠনিক বৈঠক। বৈঠক শেষে সেদিনই সম্ভবত দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে অনুব্রতর গড়কে কেন এতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে একটু যদি নজর দেওয়া যায়, তাহলেই এই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কার্যত হার হয়েছিল বোলপুর এবং বীরভূমে। আবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেনি পদ্মশিবির। বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির।

তবে এবারের পরিস্থিতি খানিক আলাদা। এই মুহূর্তে বীরভূমে নেই অনুব্রত মণ্ডল। কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে রয়েছে ওই গড়। আর এর জেরে জেলার নেতা-কর্মীদের মনোবলও দুর্বল হয়ে রয়েছে। আর এই সুযোগকেই তাই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই বীরভূম নিয়ে বেশ জোরকদমে লেগেছে গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা তো বটেই, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও বেশ আনাগোনা লেগে রয়েছে এই অঞ্চলে। তবে তৃণমূল অবশ্য এসব দিকে তেমন গুরুত্ব দিতেই চায় না। তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী যে বীরভূমে বিজেপি কোনওভাবেই দাঁত ফোটাতে পারবে না।

Back to top button
%d bloggers like this: