মমতার নেতৃত্বে গঠিত বীরভূমের কোর কমিটিতে স্থান কেষ্ট-বিরোধী নেতাদের, মেজাজ হারিয়ে জেলে টিভি বন্ধ করে দিলেন অনুব্রত

তৃণমূল সুপ্রিমো যাচ্ছেন অনুব্রতর গড়ে, একথা টিভিতে জেনেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন হয়ত তাঁর প্রিয় ‘দিদি’ তাঁকে নিয়ে কোনও কথা বলবেন তাঁর এই সফরে। কিন্তু তা হয়নি। আসানসোল জেল সূত্রে খবর, বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের খবর জানতে বেশ উত্তেজিত হয়েই টিভির সামনে বসেছিলেন কেষ্ট। কিন্তু মমতার নেতৃত্বে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটিতে তাঁর বিরোধী বলেই পরিচিত নেতাদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে দেখে যেন মেজাজ বিগড়ে যায় অনুব্রতর। টিভি বন্ধ করে দেন তিনি।
বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। তারপর বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটিতে সদস্য সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে সাত করা হয়। সেখানে জায়গা পান নানুরের নেতা কাজল শেখ। যিনি অনুব্রতর বিরোধী বলে পরিচিত। এটা টিভিতে দেখছিলেন কেষ্ট।
বীরভূমে ঠিক কী ঘটছে, তা জানার জন্য সকাল থেকেই আগ্রহী ছিলেন অনুব্রত। তাই প্রাতরাশের পরে জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে টিভির সামনে বসে পড়েন তিনি। কিন্তু কোর কমিটি সদস্যদের নাম ঘোষণা হতেই কেমন যেন সব ওলটপালট হয়ে যায়। তিনি টিভি বন্ধ করে দেন বলে জেল সূত্রে খবর।
অসুস্থতার কারণে রাতের দিকে বাড়তি নজর রাখা হয় অনুব্রতর উপর। সেখানেই কারারক্ষীরা দেখেন যে তিনি জেলের ভিতর পায়চারি করছেন ও বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছেন। ওষুধ খেয়েছেন কী না প্রশ্ন করলেও খুবই সংক্ষিপ্ত উত্তর দেন। প্রতি মঙ্গলবার তিনি খুব সকালে স্নান সেরে হনুমান মন্দিরে পুজো দেন। কিন্তু এদিন সেলের বাইরে পা রাখেন নি। জেল সূত্রে খবর, গোটা দিনই এদিন চুপচাপ ছিলেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, গত ১৯শে জানুয়ারি আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে বীরভূমের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অনুব্রত। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানান পরামর্শ দেন। কিন্তু কোর কমিটির সদস্যদের নাম দেখে চুপ হয়ে গিয়েছেন তিনি। নিজের মনের কথা জানিয়ে অনুব্রত নাকি বলেছেন কোর কমিটিতে কাজলের প্রবেশ ভাবাচ্ছে তাঁকে। কারোর সঙ্গেই তিনি কথা বলছেন না বলে খবর জেল সূত্রে।