মেয়েকে নিয়েই ব্যবসা চালাতেন, ইডি-কে জানালেন অনুব্রত, সুকন্যা জানালেন, বাবা সব জানে’, ইডি-র চার্জশিটে ভিন্ন সুর বাবা-মেয়ের

ইডি-র চার্জশিটে বাবা ও মেয়ের বয়ানে বিস্তর ফারাক মিলল। একদিকে মেয়ে ইডি-র তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে তিনি বাবার ব্যবসার বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তাঁর বাবা তাঁকে যেখানে সই করতে বলতেন, তিনি শুধু সেখানে সই করে দিতেন। কিন্তু অন্যদিকে আবার অনুব্রতর বয়ানের সঙ্গে সুকন্যার সেই দাবীর কোনও মিল নেই। বাবা ও মেয়ের বয়ানের পার্থক্য তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে তুলে ধরেছে ইডি।
চার্জশিটে ইডি দাবী করেছে যে অনুব্রত নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল তাঁর ব্যবসার সঙ্গে কোনওদিনই যুক্ত ছিলেন না। তিনি ও সুকন্যা মিলেই হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির গাইডেন্সে ব্যবসা চালাতেন। আবার সুকন্যা ইডি-কে সুকন্যা জানিয়েছেন যে ব্যবসার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর বাবা তাঁকে যেখানে সই করতে বলতেন, তিনি সেটাই করতেন।
চার্জশিটে ইডি আরও জানায়, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎসের সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, তিনি চালের কারবার এবং জমির দালালি থেকে উপার্জন করতেন। তবে সেসবের কোনও নথি দেখাতে পারেন নি তিনি। অনুব্রতর দাবী, তাঁর সমস্ত লেনদেন-সহ আয়কর রিটার্ন জমার যাবতীয় বিষয় সব কথা জানেন মণীশ কোঠারি। কিন্তু মণীশকে জেরা করে তদন্তকারীরা ওই টাকার উৎসের কোনও ব্যাখ্যা পাননি।
অন্যদিকে, মণীশ নিজের বয়ানে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে ব্যবসার বিষয়ে নির্দেশ দিতেন সুকন্যাই। অনুব্রত সেসব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতেন না। এই থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে সত্যিটা আসলে কে বলছেন? সত্যিই কী সুকন্যার ভূমিকা শুধুমাত্র সই করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত, না কী অনুব্রতের বয়ান মতোই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ে মণীশের গাইডেন্স নিয়ে মতো ব্যবসা সামলাতেন তিনি? প্রসঙ্গত, ইডির জেরায় মণীশকেও তাঁর পরিবারেই একজন হিসাবে বর্ণনা করেছেন কেষ্ট।
অনুব্রত ইডি-কে আরও জানায় যে তাঁর দু’টি মোবাইল থাকত সেহগল হোসেনের কাছে। তিনি এও জানান যে নিজের ফোন ব্যস্ত থাকলে তিনি সেহগলের ফোনও ব্যবহার করতেন মাঝেসাঝে।