রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বেশ চিন্তায় কেষ্ট, আদালতে বসেও ফিসফিস করে দলের নেতা-কর্মীদের দিলেন কড়া দাওয়াই

গত আগস্ট মাসে গরু পাচার কাণ্ডে (cattle smuggling case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এরপর থেকে জেল হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। কবে আদৌ তাঁর মুক্তি হবে, তা অনিশ্চিত। তবে এত কিছুর পরও পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election) নিয়ে দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না কেষ্টর। গতকাল, শুক্রবার আদালতে বসেও দলের নেতা-কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নানান আদেশ দিলেন তিনি।

এদিন বিচারক এজলাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ঢুকে পড়েন বীরভূমের বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী। অনুব্রতকে ফিসফিস করে কিছু কথা বলেন তারা। এর মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বীরভূম সফর নিয়েও কিছু কথা শোনা যায়। তবে কোনও উত্তর দেন নি কেষ্ট। এদিন বেশ সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন তিনি। তাঁর কথা যেন বাইরের কেউ শুনতে না পায়, সেদিকে নজরও রাখছিলেন তিনি।

দলীয় কর্মীর বাইরে কেউ উঁকিঝুঁকি মারলেই তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন কে তুমি? তোমার পরিচয় কী? তুমি আমাদের কথা কেন শুনছো? বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ শুনানির পর এজলাস থেকে বেরিয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। বিচার চলাকালীন নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে অনুব্রত মণ্ডল বেশ কয়েকবার উচ্চস্বরে কেশে উঠেন। জানান তাঁর ঠান্ডা লেগেছে। সোয়েটার আনতে ভুলে গিয়েছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিবিআই আদালতে আনা হয় অনুব্রতকে। সেই সময় অন্য একটি মামলার শুনানি চলছিল এজলাসে। এদিন এজলাসে অনুব্রতর অনুগামীদের দেখে বিচারক প্রশ্ন করেন যে এত লোক কেন ঢুকেছে সেখানে, তারা কারা? বাড়তি লোকজনদের সেখান থেকে বের করে দেন তিনি।

এদিন শুনানি চলাকালীন গত ১৪ দিনের তদন্তের আপডেট বিচারককে দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেই ফাইল দেখতে দেখতে কার্যত থ’ মেরে যান তিনি। আইনজীবীকে ডেকে ফিসফিস করে কিছু কথা বলেন।

এরপর তদন্তকারী অফিসারকে বিচারক বলেন, “আমার ২০ বছরের সার্ভিস লাইফে এ জিনিস শুনিনি। দেখা তো দূরের কথা”। সেই সিডি বা কেস ডায়েরি এখন বিচারকের কাছেই রয়েছে। তাতে সিবিআই কী এমন তথ্য দিল, তা নিয়ে রহস্য জমাট বাঁধছে ক্রমশ। আগামী ২২শে ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডলের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ততদিন তিনি জেল হেফাজতেই থাকবেন।

Back to top button
%d bloggers like this: