‘নতুন বছর ভালো কাটুক, মানুষের উপকার হোক’, জেল থেকেই সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন কেষ্ট

আপাতত তিনি দুবরাজপুরে (Dubrajpur) পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তবে জেল থেকে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আজ, শনিবার দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে। জেল থেকে বেরনোর সময় তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেন, “নতুন বছর সবার ভাল যাক। বীরভূম (Birbhum) জেলার ভাল যাক। রাজ্যের সকলের ভাল যাক।”
আজ, শনিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য় থানা থেকে দুবরাজপুরে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। থানা থেকে বেরনোর সময় সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, “নতুন বছর ভাল যাক। বীরভূম জেলার সকলের ভালো হোক। রাজ্য়ের সকলের ভাল হোক”।
এদিন আকাশি পাঞ্জাবি, সাদা পাজামার উপর সাদা চাদর জড়ানো অবস্থায় হাসপাতালে দেখা যায় অনুব্রতকে। বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন তিনি। হাসপাতালে ঢোকার সময়ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, “নতুন বছর ভাল কাটুক। মানুষের উপকার হোক”।
সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ ও অনুব্রতর অনুরোধে তাঁর সঙ্গে একজন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রাখা হয়েছে। তিনিই খেয়াল রাখছেন তৃণমূল নেতার। আজ রুটিনমাফিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান অনুব্রত।
বলে রাখি, গত আগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর থেকেই তাঁর নানান বেনামী সম্পত্তির হদিশ মিলতে থাকে। গত সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট রায় দেয় যে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। কিন্তু সেখানেও বাধা।
এই রায়দানের ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর পুলিশ। আদালতের নির্দেশে আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন কেষ্ট। আগামী ৯ই জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না। শুক্রবার এই মামলারই কেস ডায়েরি চায় হাইকোর্ট। এর পাশপাশি সিবিআই আদালতে বিচারপতির হুমকি চিঠি পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি জানতে চান যে এই বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।