West Bengal

‘খুন করে ফেলে রেখে দেব, কেউ জানতেও পারবে না’, হুমকি দেওয়া হয় অর্জুনকে, বিজেপি নেতার মৃত্যুরহস্যে চাঞ্চল্যকর মোড়

বিজ্ঞাপন

কাশীপুরের বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এখন গোটা বাংলা উত্তাল। এরই মধ্যে এই ঘটনায় সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত অর্জুনের পরিবারের দাবী, গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর গোটা রাত বাড়ি ফেরেনি অর্জুন। শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ।

বিজ্ঞাপন

অর্জুন চৌরাসিয়ার মা ও তাঁর পরিবার দাবী করেন, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাশীপুর রেল কলোনিতে তাদের বাড়ির কাছে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানেই কিছু একটা ঝামেলা চলছিল। সেই সময় অর্জুন একবার বাড়ি আসে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু পরক্ষণেই বেরিয়ে যায় সে। অর্জুনের মা জানান যে তিনি কাউকে দেখতে পান নি। তবে তিনি শুনেছিলেন যে কেউ একজন তাঁর ছেলেকে হুমকি দিয়ে বলছে, “খুন করে ফেলে রেখে দেব, কেউ জানতেও পারবে না”। সেই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও অর্জুন বাড়ি ফেরেন নি।

বিজ্ঞাপন

পরিবার সূত্রে খবর অনুযায়ী, এরপরই অর্জুনকে খোঁজাখুঁজি শুরুক্রে পরিবারের সদস্যরা। তাঁকে ফোনেও পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা। আর তারপরই শুক্রবার সকালে মেলে অর্জুনের মৃতদেহ। এই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় রাজনীতির রঙও লাগে। বিজেপি তাঁকে নিজেদের কর্মী বলে দাবী করে। আবার অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে দাবী করা হয় যে অর্জুন নাকি নির্বাচনে তাদের দলের হয়ে কাজ করেছেন। ঘটনার দিনই অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবী তোলেন। অর্জুনের পরিবার ও বিজেপির তরফে দাবী করা হয় যে অর্জুনকে খুন করা হয়েছে।

কিন্তু এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। আদালতের নির্দেশ গতকাল, শনিবার কমান্ড হাসপাতালে হয় অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত। এই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কম্যান্ড হাসপাতালের প্যাথোলজি ও ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক জসবিন্দর ও চিকিৎসক হেমন্ত। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে যে অর্জুনকে খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাঁর দেহে ধ্বস্তাধস্তির কোনও চিহ্নও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

(সবার আগে সব খবর, সঠিক খবর জানতে ফলো করুন আমাদের Google News, Whatsapp, Facebook, X Handle (Twitter), Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

Back to top button