দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন! বন্ধ হোক রক্তের হোলি! কমিশনকে ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

আর পাঁচ দিন পরেই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই এই নির্বাচনকে ঘিরে ধুন্ধুমার পড়ে গেছে। আসলে গ্রাম বাংলার এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটই ভাগ্য বিচার করে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের। আর তাই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই সচেষ্ট থাকে ক্ষমতা হাসিল করার জন্য।
আর যথারীতি শাসক দল সেই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। আর যার ফলস্বরূপ বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা, হাঙ্গামা, খুন, রক্ত। বিধানসভা নির্বাচন হোক বা লোকসভা নির্বাচন বা পঞ্চায়েত সর্বত্রই হিংসার ছবিটা একই। রাজনৈতিক ক্ষমতা হাসিলের এই লড়াইয়ের প্রত্যেকবারেই প্রাণ যায় কিছু নিরীহ মানুষের। রাজনীতি করার দোষে খুন হতে হয় বহু মানুষকে।
রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস বেলাগাম। কোথাও বিজেপি কোথাও সিপিএম কোথাও শাসকদলের নেতাকর্মীরা খুন হয়ে যাচ্ছেন।তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাসন্তীতে হিংসার শিকার হয়ে প্রাণ ঝরল এক যুব তৃণমূল কর্মীর। হিংসাদীর্ণ কোচবিহার। ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে টানাপড়েন। ভোটের আগেই ২৩ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর এই সমস্ত ঘটনা একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের লাগামহীন সন্ত্রাসে রাশ টানতে কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? কেন ভোটের পাঁচদিন আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চলছে টালবাহানা? আর এবার এই বিশয়ে নির্বাচন কমিশনকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। বন্ধ হোক এই রক্তের হোলি। সন্ত্রাস দমন করতে কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।