অনুব্রতর গড়ে ঢুকে পড়লেন শুভেন্দু! দলত্যাগের কিছু ঘণ্টা পরই বিরোধী দলনেতার উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ অনুব্রতর ডেপুটির

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। এর ঠিক আগেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandala) গড়ে জমি শক্ত করতে উদ্যত হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ, মঙ্গলবার দল ছাড়ার পরই বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha)। এদিন শুভেন্দু তাঁর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান। এরপর গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন বিপ্লব ওঝা। এই যোগদান প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলার তৃণমূল মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় (Moloy Mukherjee) বলেন, “এবার তো বোঝা যাচ্ছে উনি (বিপ্লব ওঝা) ইচ্ছে করে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। কাজ করেননি”।
বিপ্লব দেব ওই এলাকায় অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের টিকিট পান নি তিনি। এর জেরে দলের সঙ্গে তাঁর একটা দূরত্ব তৈরি হয়। গত দেড় বছর ধরেই প্রায় নিষ্ক্রিয়ই ছিলেন তিনি বলা যেতে পারে। জানা যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে তাঁকে বসানোর কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিও রাখা হয়নি। এরপরই দলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আজ, মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূল ছাড়েন বিপ্লব ওঝা।
দলত্যাগ প্রসঙ্গে বিপ্লব ওঝা বলেন, “আমি তৃণমূলের কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। তার পিছনে কারণ রয়েছে। দলে এক বছর ধরে কোনও গুরুত্ব নেই। আমাকে কোনও মিটিং-মিছিলে ডাকা হয় না। মনে হচ্ছে দলে আমি বোঝা হয়ে গিয়েছে”।
তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কী না, তা প্রশ্ন করায় দলত্যাগী নেতা জানিয়েছিলেন “এলাকার মানুষ চাইলে আমি যে কোনও সর্বভারতীয় দক্ষিণপন্থী দলে যোগ দিতে পারি। সেটা বিজেপি হতে পারে আবার কংগ্রেসও হতে পারে”। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেল কেষ্টর গড়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন জেলার সহ সভাপতি।
বলে রাখি, একসময় বীরভূম জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। এরপর তিনি ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ শতাব্দী রায় জেতার পরেই ওই সালে প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূল যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা।
গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই সময় একমাত্র নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তাঁকেই নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিপ্লববাবুকে। কিন্তু বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন তিনি।