আমবাগান থেকে উদ্ধার বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা, দাবী বিজেপির

আমবাগান থেকে উদ্ধার হল বিজেপি বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ। অভিযোগ, তাঁকে খু’ন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় তুমুল শোরগোল পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার পেপুলবেড়িয়া ফতেপুর এলাকায়।
মৃত ওই বিজেপি নেতার নাম নকুল হালদার। নদিয়ার হাঁসখালি থানার পেপুলবেড়িয়া ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নকুল হালদার। আর ফেরেন নি। বুধবার সন্ধ্যেয় পাশের কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজনঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার একটি আমবাগান থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীরা ঝুলন্ত দেন দেখতে পান। তারাই নকুল হালদারের পরিবারকে খবর দেন। খবর পেয়ে বিজেপি নেতার পরিবার সেখানে পৌঁছে দেহ নামায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
মৃত নকুল হালদার এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতি। হাঁসখালি ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৮ বুথ সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। এলাকায় একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন ওই ব্যক্তি। আর সেই সুবাদেই দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।
মৃতের পরিবারের দাবী, নকুল হালদারকে পরিকল্পিতভাবে খু’ন করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দিকেই সরাসরি আঙুল তুলেছেন তারা। এই খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় যান বিজেপির বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। তাঁর দাবী, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই কাজ করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
মৃত বিজেপি নেতার পরিবারের তরফে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকোচ করেছেন বেতনা গোবিন্দপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি জয়ন্ত বিশ্বাস। তাঁর কথায়, “যেকোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কোনোভাবেই জড়িত নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে”।