আচমকাই অশোকের বাড়িতে উপস্থিত রাজু, তবে কী এবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য? জল্পনা তুঙ্গে

হঠাৎই সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের (Ashok Bhattacharya) বাড়িতে উপস্থিত হলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista)। প্রাক্তন মেয়রের বাড়িতে এভাবে বিজেপি সাংসদের (BJP MP) উপস্থিতি নিয়ে বেশ জল্পনা বেড়েছে। জেলা রাজনীতির সমীকরণ অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে কী না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। তবে কী এবার গেরুয়া শিবিরে দেখা যাবে অশোক ভট্টাচার্যকে?
যদিও এই ঘটনাকে সম্পূর্ণভাবেই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলেছেন দু’পক্ষই। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “অশোকবাবু এক সময় মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়র ছিলেন। শিলিগুড়ি শহরের কাজে তাঁর নিষ্ঠার কথা সবাই জানেন। ওঁকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। ওঁর স্ত্রীবিয়োগের এক বছর হল। ৩০ অক্টোবর তার অনুষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু আমি তখন থাকতে পারছি না। সেটাও জানিয়ে গেলাম”।
অশোকও জানান, দীপাবলি শুভেচ্ছা জানাতেই সাংসদ এসেছিলেন। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী রত্নার প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানে ওঁকে কার্ড পাঠিয়েছিলাম। ওই দিন থাকছেন না বলে আসতে পারবেন না, সেটাও জানিয়ে গেলেন”।
এদিন রাজু বিস্তা বলেন, “যখনই অশোকদার সঙ্গে দেখা হয়েছে, রাজ্য ও শিলিগুড়ি নিয়ে বহু কিছু জেনেছি। উনি অভিভাবকের মতো। আর ওঁর যত অভিজ্ঞতা, আমার বয়সও তত নয়। অনেক কিছু শেখা যায়”।
অশোকও জানান যে রাজনীতির কোনও কথা হয়নি তাদের মধ্যে। তবে তিনি বলেন, “ওঁকে বললাম, রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতিটাও দেখা দরকার। তোমরা তো আগে এ সব নিয়ে পড়াশোনা করতে। দেশের অর্থনীতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। তৃণমূলও রাজ্যে কিছু দেখছে না। বাংলার তথা শিলিগুড়ির অর্থনীতিও খারাপের দিকে যাচ্ছে”।
সাংসদ দাবী করেছেন যে আরও অনেকেই দেখা করেছেন যারা সত্যিই শিলিগুড়ির কথা ভাবেন। মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে দেখা বা কথা হয়েছে কী না, সেই প্রসঙ্গে রাজু বলেন, “গৌতমদার সঙ্গেও কথা হয়, যখন শিলিগুড়ি নিয়ে কোনও কাজের বিষয় থাকে। তবে ওঁর বাড়ি যাইনি”।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী এই বিষয়ে বলেন, “রাজনীতি তার জায়গায়। বিভিন্ন দলের নেতাদের মধ্যে সৌহার্দ্যের পরিবেশ শিলিগুড়িতে বরাবর রয়েছে। এটা এ শহরের বৈশিষ্ট্য”।