রাজ্য

গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি কর্মীর থেকেও একজন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন কেন কম? জানতে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি বসু

পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন কাঠামো নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। একজন অশিক্ষক কর্মী অর্থাৎ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীর থেকেও একজন পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন কীভাবে কম হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

শুধু তাই-ই নয়, বেতন কাঠামোতে কেন এতো খামতি, এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। এনিয়ে কেন্দ্র, সর্বশিক্ষা মিশন এবং রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

কী অভিযোগ উঠেছে?

এই মামলায় অভিযোগ, মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে যে শিক্ষক সমাজকে গণ্য করা হয়, সেই শিক্ষক সমাজের হাজারও বৈষম্য সঙ্গে রয়েছে। পার্শ্ব শিক্ষক হওয়ার কারণে তারা অশিক্ষক কর্মীদের থেকেও কম বেতন পান। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতের প্রশ্ন, “কীভাবে একজন অশিক্ষক কর্মীর থেকে প্যারা টিচারদের কম বেতন পাচ্ছেন”?

এর জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, “কেন্দ্র যখন সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্পে ৬০ শতাংশ টাকা দেয়, তবে অন্য রাজ্যে প্যারা টিচারদের বেতন বেশি হলেও এই রাজ্যে কম কেন”?

অন্যদিকে, এই বিষয়ে রাজ্য জানায়, “সর্বশিক্ষা মিশনের খাতে কেন্দ্র যে ৬০ শতাংশ টাকা দেয় তা ইতিমধ্যেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই বেতনের এই বৈষম্য”।

Back to top button
%d bloggers like this: