প্রশ্নপত্র বিভ্রাট! নেতাজি সম্পর্কিত ভুল প্রশ্ন উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষায়, বিতর্কের মুখে পড়ে কী ব্যাখ্যা দিল শিক্ষা সংসদ?

গতকাল, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মোবাইল ব্যবহার রোখার জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে এই বছর। কিন্তু পরীক্ষার প্রথমদিনই শুরু বিতর্ক। প্রশ্নপত্র বিভ্রাট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী নিয়ে একটি প্রবন্ধ রচনার প্রশ্নে ভুল তথ্য থাকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই নিয়ে ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে শিক্ষা সংসদের তরফে।
প্রশ্নপত্রে দেখা গিয়েছে, প্রবন্ধ রচনা লেখার জন্য যে সূত্রগুলি দেওয়া রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, ‘উচ্চশিক্ষা: প্রেসিডেন্সি কলেজ, আইএএস উত্তীর্ণ’। এর জেরেও শিক্ষক মহলের সমালোচনা করা হয়েছে। কারণ, নেতাজি আইএএস নয়, ১৯২০ সালে সিভিল সার্ভিস অর্থাৎ আইসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
এটি কোনও পৃথক প্রশ্ন ছিল না বটে কিন্তু তবু প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবন্ধ লেখার সময় এমন একটি ভুল করলে কি নম্বর মিলবে? এই বিষয়ে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এটা সম্ভবত ছাপার ভুল। তখন আইএএস ছিলই না। তবে, পরীক্ষার্থীরা আইএএস লিখুক বা আইসিএস তারা তাদের প্রাপ্য নম্বরই পাবেন। কারণ, আমাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তো পরীক্ষার্থীরা লিখছেন। সেই তথ্যেই ভুল ছিল”। পরীক্ষার্থীরা প্রবন্ধটি কেমন লিখছে, তার ওপর ভিত্তি করেই নম্বর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। আর পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৯। পরীক্ষায় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবেশপথে ব্যাগ চেকিং করে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের।
স্পর্শকাতর ২০৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রে চেকিং করা হয় হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে। আর অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে আরএফডি যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়। এদিন পরীক্ষা চলাকালীন আরএফডি নিয়ে কলকাতার সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শনে আসেন সংসদ সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন সংসদের সচিব তাপস মুখোপাধ্যায়।
পরীক্ষার্থীদের কথায়, প্রশ্নপত্র বেশ সহজই ছিল। পরীক্ষা দিতে কোনও সমস্যা হয়নি তাদের। এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা করোনা অতিমারী কারণে ২০২১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেননি। ফলে নিজের স্কুলের বাইরে গিয়ে এটাই তাদের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই কারণে বেশ টেনশনে তো ছিলই কিছু পরীক্ষার্থী। তবে পরীক্ষা দিতে দিতে টেনশন চলে যায় তাদের।