খাদ্য দফতরে লাগামছাড়া বেনিয়মের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ? ব্ল্যাক লিস্ট থেকে ভুয়ো বিল, সিবিআইয়ের নাম শুনলেই কাঁপছেন যে খাদ্য দফতরের রাঘববোয়ালরা

সিবিআই যেন এখন খাদ্য দফতরের কাছে একটা ত্রাসে পরিণত হয়েছে এখন। হঠাৎই কেউ রটিয়েছে যে সিবিআই খাদ্য দফতরে গিয়েছে। ব্যস, আত্মারাম খাঁচা হওয়ার জোগাড় খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের। এমন ঘটনাই ঘটল গতকাল দুপুরে। সিবিআই খাদ্য দফতরে হানা দিয়েছে শুনেই রীতিমতো হুলস্থূল পড়ে যায় সেখানে। যদিও পরে জানা যায় যে সিবিআই সেখানে যায়নি।
গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দুটি চালকলে তল্লাশি চালিয়ে সেই চালকলদুটি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জেলা খাদ্য আধিকারিকদের থেকে চেয়ে পাঠায় সিবিআই। কিন্ত সেই চিঠির জবাব এখন মেলেনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই চিঠির উত্তর দিলে আধিকারিকরাই ফেঁসে যেতে পারেন, এই ভয়ে তারা কোনও তথ্য দেননি। ওই চালকলগুলিতে অনেক বেনিয়ম হয়েছে বলে খবর।
সূত্র অনুযায়ী, বীরভূম জেলায় ৫৪টি চালকলের মধ্যে সব কটি খাদ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বেশিরভাগ চালকলেই দীর্ঘদিন ধরেই চুল্লি জ্বলে না। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, চালকলের বয়লার ২৪ ঘণ্টাই জ্বলবে। ওই চালকলে ধান চাল মজুত থাকার কথা। কিন্তু তাও ছিল না।
তাই নিয়ম অনুযায়ীউ, এই চালকলগুলি খাদ্য দফতরের কাছে ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ হওয়ার কথা। কিন্তু সেগুলি এখনও একদিকে যেমন ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ হয় নি, তেমনই অন্যদিকে আবার ওই চালকলগুলি খাদ্য দফতরের কাছে প্রচুর ভুয়ো বিল জমা করেছে। সেই বিলেই খাদ্য দফতর থেকে টাকা পৌঁছে গিয়েছে চালকলের অ্যাকাউন্টে।
দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল যে খাদ্য দফতরে বেনিয়ম হচ্ছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেশনিং ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এনেছে মমতা সরকার। মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে রেশন। কিন্তু রাজ্যের বহু মানুষই রেশন নেন না। অনুব্রত মণ্ডল নানান বাবুর কাছে যে খাম দিয়েছেন তা নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। সিবিআই তদন্ত হলে যে খাদ্য দফতরের অনেক রাঘববোয়ালরাই ধরা পড়বে, তা বেশ নিশ্চিত।