রাজ্য

‘দুর্ভাগ্যজনক, ভাবতে পারিনি এমনটা হবে’, বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মন ভেঙে গেল বামনেতা বিমান বসুর

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খালি হাত হয়ে গিয়েছিল বাম ও কংগ্রেসের। বিধানসভায় উভয় দলেরই আসন সংখ্যা ছিল শূন্য। তবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলকে হারিয়ে বিধানসভায় কংগ্রেসের খাতা খুলেছিলেন। তাঁকে সামনে রেখেই ‘সাগরদিঘি মডেল’ তৈরি করে এগোতে চাইছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু তা হল না। আর তা নিয়ে এবার নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে কংগ্রেসকে শক্তি জুগিয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস। একটু একটু শক্তি সঞ্চয় করছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু তিনমাসেই সব শেষ। ভোটে জেতার ৯০ দিনের মধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তাঁর হাত থেকে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা তুলে নেন বাইরন বিশ্বাস।

গতকাল, সোমবার জলপাইগুড়িতে গিয়ে এই দল পরিবর্তনের বিষয়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বসু বলেন, “বুঝিনি এ রকম হবে। আমাকে টেলিফোন করে কেউ জানিয়েছেন। তবে যা হল, তা ভাল হল না। বিধায়ক হওয়ার পরও উনার মধ্যে জড়তার ভাব ছিল। এ জন্যই হয়তো ছিল। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা”।

তৃণমূলে যোগদানে পর বাইরন অভিযোগ করেছেন, তিন মাসে তিনি কোনও কাজ করতে পারেননি। এ বিষয়ে বিমানবাবু বলেছেন, “ওকে তো বিধানসভাতেও খুব একটা যেতে দেখিনি। শপথ নিয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে কী কাজ করবে! যা হল ভালো হল না”। তবে বাইরন তৃণমূলে চলে যাওয়ায় যে তাদের জোট ভেঙে যাবে, এমনটা একেবারেই মনে করেন না বর্ষীয়ান বামনেতা। তাঁর কথায়, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলেই রাজনৈতিক পরিবর্তনের বিশ্লেষণ হয়ে যায় না।

Back to top button
%d bloggers like this: