‘মানুষখেকো বাঘ হলে বাঘকে মেরে চামড়া টাঙ্গিয়ে দিতে হয়’, নাম না করেই কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে কটাক্ষ সিপিএমের মীনাক্ষীর

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূমের বাঘ বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এবার সেই অনুব্রতর গড়ে দাঁড়িয়েই নাম না করেই তাঁকে বাক্যবাণে বিঁধলেন ডিওয়াইএফআই-য়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষের প্রেক্ষিতে তৃণমূলে জবাব, “মীনাক্ষী কী বললেন, তাতে মানুষ কোনও গুরুত্ব দেয় না”।
গতকাল, রবিবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে সিপিএমের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই সভায় যোগ দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এদিন সভা থেকে শাসকদলকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। নাম না করেই এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করেন মীনাক্ষী।
সিপিএম নেত্রী বলেন, “বাঘ যদি বাঘের মতো থাকে, বিরল প্রজাতির হয় তাহলে আমাদের দায়িত্ব তাকে সংরক্ষণ করা। কিন্তু কোনওকারণে বাঘ যদি মানুষখেকো হয়ে যায় তাহলে বাঘকে মেরে চামড়া দেওয়ালে টাঙিয়েও রাখতে হয়”। ফিরহাদ হাকিম অনুব্রতকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তা নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সেই একই ভঙ্গিতে এবার জবাব দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মীনাক্ষী।
এখানেই শেষ নয়, এদিন এই সভা থেকে ডেউচা পাঁচামীর কয়লাখনি নিয়েও মন্তব্য করেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, “ডেউচা পাঁচামীকে লুট করে যারা নিয়ে যেতে চাইছে তাদের পরাস্ত করতে হবে। তোমরা লুঠ করেছ তাই সরকারি কাজ নেই। পশ্চিমবঙ্গে অনেক গুলো কয়লা ও পাথর খনি রয়েছে সেগুলোর কী হবে? উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন জয়গায় শিল্পের জন্য জমি পরে আছে। কিন্ত কোথাও কোনও উদ্যোগ নেই”। মীনাক্ষীর মতে, ডেউচা পাঁচামী কয়লা শিল্ অলাভজনক।
অনুব্রতকে নিয়ে করা মীনাক্ষীর মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এই বিষয়ে জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির কনভেনার তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “মানুষই ওদের দেওয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছে। মীনাক্ষী কী বলল তাতে মানুষ বিশ্বাস করে না। বাঘ-বাঘই থাকে, আর শিয়াল সারাজীবন শিয়ালই থাকবে”।
অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখার্জি বলেছেন, “মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন দেখে এই সমস্ত কথা বলছে মীনাক্ষীরা। কে বাঘ আর কে, কাকে সংরক্ষণ করবে, এটা মানুষ ঠিক করবে। মীনাক্ষীরা নয়। বামেদের কথার গুরুত্ব দিতে নারাজ আমি”।