রাজ্য

রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য! নবান্নের সঙ্গে বৈঠকে মিলল না কোনও রফাসূত্র, শহরে এবার মহামিছিলের ডাক ডিএ আন্দোলনকারীদের

রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে কোনও দাবী পূরণ হল না ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protesters)। এদিন নবান্নে বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন যে আপাতত রাজ্যের কোষাগারে টান রয়েছে, তাই এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (DA) দেওয়া সম্ভব নয়। এর জেরে ক্ষুব্ধ ডিএ আন্দোলনকারীরা। এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র হবে বলে জানান তারা। আগামী ৬ মে কলকাতায় মহামিছিল হবে বলে জানিয়েছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ (Bhaskar Ghosh)।

কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ মেনে আজ, শুক্রবার নবান্নে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ৫ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে করেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, অর্থসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের ২ প্রতিনিধিও। এদিন বৈঠকে আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবীদাওয়া পেশ করেন।

কিন্তু সরকার নিজের অবস্থানে অনড় থাকে। তারা জানায় যে আন্দোলনকারীদের দাবীদাওয়া মানতে তারা অপারগ। মুখ্যসচিব জানান, সরকার তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কেন্দ্রের কাছে অনেক অর্থ আটকে, ফলে এই মুহূর্তে ভাঁড়ারে সংকট রয়েছে। তাই দাবিমতো ৩৬ শতাংশ ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। 

যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের মতে নবান্নে এই বৈঠক সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এদিন ভাস্কর ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারকে বলেছি, তহবিলে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে তা কখনওই সত্য নয়। আর আপনারা যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা আটকে রাখার কথা বলছেন তাও গ্রহণযোগ্য নয়”।

ভাস্করবাবু কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রেখেছে ১০০ দিনের কাজে, সড়ক যোজনায়, আবাস যোজনার খাতে। এরসঙ্গে কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার কী সম্পর্ক?

আন্দোলনকারীদের আরও বক্তব্য, তাঁরা বৈঠকে আইএএস অফিসারদের বলেছেন, “আপনারা ৪২ শতাংশ মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন। অথচ একই বাজার থেকে বাজার করি আমরাও। আমরা পাচ্ছি ৬ শতাংশ। এটা কি সঠিক বিচার হচ্ছে”?

এই ব্যর্থ বৈঠকের পর এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তারা জানিয়েছেন যে এই বিষয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন। এমনকি, আগামী ৬ মে কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে। আরও একগুচ্ছ দাবীদাওয়া নিয়ে সোচ্চার হতে পারেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

Back to top button
%d bloggers like this: