মন্দিরেও তোলাবাজি! পুজো দিতে গেলে কাটতে হচ্ছে কুপন, মাহেশের মন্দিরে বিস্ফোরক অভিযোগ পুণ্যার্থীদের

আজ, শনিবার উল্টোরথ। পুরী মন্দির তো বটেই শ্রীরামপুরের মাহেশেও ভক্তদের সমাগম চোখে পড়ার মতো। মাহেশের রথ খুবই বিখ্যাত। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠল যে উল্টোরথের পুজো দিতে গেলে কাটতে হচ্ছে কুপন। কুপনের দাম মাথাপিছু ২০ টাকা। এই নিয়ে মাহেশের মন্দিরে বিক্ষোভ দেখালেন ভক্তরা।
রথ যাত্রার দিন রথে চড়ে মাসির বাড়ি এসেছিলেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। আজ উল্টোরথের দিন ঘরে ফেরার পালা তাদের। উল্টোরথ উপলক্ষ্যে বড় পুজো রয়েছে মাহেশে। সেই পুজোতে যোগ দিয়েছেন ভক্তরা। আর সেই পুজোর জন্যই পুজো দিতে গেলে কাটতে হচ্ছে কুড়ি টাকার কুপন, যা আগে কখনও হয়নি। এমনটাই অভিযোগ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পুণ্যার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এই পুজোকে সামনে রেখেই ট্রাস্টি ও সেবায়েতরা ব্যবসা খুলে বসেছেন।
পুজো দেওয়ার জন্য কুপন কাটতে হবে, এমন অভিযোগকে সামনে রেখেই মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত তমাল অধিকারীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ভক্তরা। এই বিক্ষোভের কথা শুনে সেখানে পৌঁছন তৃণমূল কাউন্সিলর।
এই বিষয়ে শ্রীরামপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেন টাকা দিয়ে জগন্নাথ দেবকে প্রণাম করতে হবে তা ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছি। এটা চলতে পারে না। আগে ভক্তদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। এবারও হবে না”।
রীতি অনুযায়ী, আজ উল্টোরথের দিন মাসির বাড়ি থেকে মূল মন্দিরে ফিরবেন প্রভু জগন্নাথ। সঙ্গে সুভদ্রা ও বলরাম। এদের মন্দিরের দ্বার খোলার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম মেনে চলতে থাকে পুজো। বিকেল ৩টের পর রথের দড়িতে টান পড়বে। তবে এর আগে পুজো দিতে গিয়ে কুপন কাটার ঘটনায় পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মন্দির চত্বরে।