রাজ্য

‘রাজ্যের মানুষ এই উৎপাতের শিকার, রাজনীতির চরম বিকৃত রূপ হলেন মদন মিত্ররা’, মদনের তর্পণ করা নিয়ে সরব দিলীপ

দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একাধিক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছেন। এই নিয়ে আগেও তাঁকে কটাক্ষ শানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) তর্পণ করা নিয়ে মুখে খুললেন বিজেপি সাংসদ।

আজ, মঙ্গলবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারচুয়ালি রেকর্ড পুজো উদ্বোধন এবং মদন মিত্রের তর্পণ নিয়ে সরব হন মেদিনীপুরের সাংসদ। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “‌এটার পিছনে সবকিছু কুক্ষিগত করে নেওয়ার মানসিকতা কাজ করে। তার পরিণাম, প্রশাসন বলে কিছু নেই। প্রশাসনের কোনও ক্ষমতা নেই। সব কিছু ভেঙে পড়েছে। গোটা রাজ্যের মানুষ এই উৎপাতের শিকার। গোটা রাজ্যকে কুক্ষিগত করে নেওয়ার এই মানসিকতার শিকার রাজ্যবাসী। এই ধরনের রাজনীতির চরম বিকৃত রূপ হলেন মদন মিত্ররা”।

মহালয়ার দিন শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের উদ্দেশে তর্পণ করে মদন মিত্র বলেছিলেন, “এরা ব্যক্তিগত জীবনে সুস্থ থাকুন। আমাদের বিরোধী দলনেতা উনি রেজিস্টার মেনটেন করতে থাকুন। আগামী বছর যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তারপর তর্পণ করতে আর কোনও বিজেপিকে নেতাকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু বারবার বলছি যাঁদের ছবি দেখছেন, বাংলার মানুষরা যাঁদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ, সেই প্রণম্য মানুষরা সুস্থ থাকুন, পরিবারে ভাল থাকুন, দীর্ঘায়ু কামনা করছি। কিন্তু রাজনৈতিক তাণ্ডব, সন্ত্রাস তার অবসান ঘটুক। তাই তর্পণ। বিজেপির রাজনৈতিক অপমৃত্যুর তর্পণ”।

প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিন সকালে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে উত্তরসূরিরা তর্পণ করেন। গতকাল, মহালয়ার দিন বাবুঘাটে তর্পণ করতে গিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। এদিন তাঁর পরনে ছিল তসরের ধুতি-উড়নি। চোখে সানগ্লাস। এদিন নিজের মেজাজেই তর্পণ সারলেন মদন মিত্র।

গঙ্গার পাশেই রাখা ছিল শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবি। তাদের দু’জনের ছবিতে মালা পরানো। নিয়ম মেনে বিজেপির উদ্দেশে তর্পণ সারেন মদন। বিজেপির বিদায় কামনা করে এই কাজ করেন তিনি। তাঁর এই কাজের জন্য বিজেপির তরফে তীব্র কটাক্ষও করা হয়েছে মদন মিত্রকে।

মদন মিত্রের এই কাজকে সমর্থন করেন নি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। এই ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি হলে এ কাজ করতাম না। এটা মদনদার ব্যাপার। আমি নিশ্চিত সবাইকে আক্রমণ করতাম। কিন্তু এসব করতাম না। মদনদা নিজস্ব অভিধান মেনে কাজ করেন। সেটার কপিরাইট তার নিজের”।

Back to top button
%d bloggers like this: