‘উনি যখনই বিপদে পড়েন তখনই ছুটে যান’, মমতার দিল্লি সফর ও মোদীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ‘দিদি’কে কটাক্ষ দিলীপের

চারদিনের দিল্লি সফরে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই সফরে নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠকে যোগ দেওয়া ছাড়াও, আরও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মমতার। এরই মধ্যে গতকাল, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রায় ৪০ মিনিট চলে দু’পক্ষের এই বৈঠক।
এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করেন মমতা। এরপর চলে যান সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে। আজ, শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে ফের মুখোমুখি মোদী-মমতা। মমতার এই বৈঠক নিয়েই এবার তাঁকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “মমতা দেখা করা নিয়ে প্রশ্ন আমাদের মনেও ওঠে। উনি যখনই বিপদে পড়েন তখনই ছুটে আসেন। উনি দেখানোর চেষ্টা করেন, কেমন সেট করে এলাম, কিন্তু এবার আর কাজ করবে না”।
গতকাল, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা। মোদীকে হলুদ গোলাপ ও বাংলার মিষ্টি উপহার দেন তিনি। বাটিকের নকশা করা একটি উত্তরীয়ও দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের রাজ্য সভাপতিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার কথা যেমন বলতে পারেন, আমরাও আমাদের কথা জানাব”।
তিনি আরও বলেন, “পার্থ যদি রাজনীতিতে না আসতেন তবে কি আমরা টাকার পাহাড় দেখতে পেতাম। কত ছেলে মেয়ে পথে বসে গিয়েছে, সব তাঁর জন্য হয়েছে। পাপস্খলন হচ্ছে, ওপরে গেলে কী হবে কে জানে। ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। ওদিকে অনুব্রত গেলে বাড়ি ফিরবেন কিনা জানিনা। সারা রাজ্যের মানুষ চাইছেন উনি একবার ভিতরে যান। সবে খেলা শুরু হয়েছে। এবার দেখতে থাকুন খেলাটা কোথায় যায়। সবে তো একটা উইকেট পড়েছে, আরও উইকেট পড়ার সম্ভাবনা আছে। আমার ইচ্ছা হোক, বাংলা চাইছে হোক। আর যদি না করে তবে বাংলা ছাড়বে না”।
দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “যারা সঠিক বিজেপি করেন পশ্চিমবঙ্গে, তাদের মনে তো প্রশ্ন জাগবেই। আর এতবড় দুর্নীতির তদন্ত যখন চলছে, তখন দুজন ব্যস্ত ৪০মিনিট আমি এবং তুমি বৈঠক করলেন। তখন সেটিং এর তত্ত্ব প্রকাশ হবেই। রাজ্য কেন্দ্র কথা হলে দফতরের আধিকারিকরাও থাকত। এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাও তাই বুঝতেই পারছেন মমতারই সহচরী মোদী। দিলীপ বাবুই শুধু নয় সকলেই বলবো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইলে বামপন্থীদের পতাকায় আন্দোলনে সামিল হোন”।