রাজ্য

‘সব জায়গাতেই দালালি চলছে, যে নেতা যেমনভাবে পারছে কাজ করিয়ে নিচ্ছে, পুরনোরা কোণঠাসা হচ্ছে’, এসএসকেএম-মদন বিতর্কে তোপ দিলীপের

এসএসকেএম ও মদন মিত্রের তরজা যেন উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চলছেই। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের তরফে মদনকে ‘হুলিগান’ বলে তোপ দাগা হয়েছে। এর পাল্টা জবাবও দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। এবার এই ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আজ, রবিবার এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “সব জায়গায় দালালি চলছে। যে নেতা যেমন পারছে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কাজ আটকালে গণ্ডগোল। কোনও সিস্টেম নেই। সবাই নিজের মত চালাচ্ছে। পার্টির উপর কারও কন্ট্রোল নেই। নেতারা জেল যাওয়া থেকে বাঁচতে জন্য চেষ্টা কোর্টকাচারি করছে। ডামাডোল পরিস্থিতি। তার মধ্যে পুরনোরা বুঝতে পারছে কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছি”।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার জেরে মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার রাতে। এদিন পথ দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তিকে তাঁর পরিবারের লোক এসএসকেএমে নিয়ে যান। কিন্তু অভিযোগ, চিকিৎসা না করে ৬ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় ওই দুর্ঘটনাগ্রস্তকে। খবর পেয়ে রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন মদন মিত্র। ওই জখম ব্যক্তি আবার অন্য একটি সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য টেকনিশিয়ান।

মদন মিত্র বলেন, “ট্রমা কেয়ার তৈরি হয়েছে জনগণের জন্য। কোনও দাদা, বাবা বা অন্য কারও নয়। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আমাকে বলেন, আমায় তো বলছো, কিন্তু কাউকে তো পাব না। পাব না মানে! ট্রমা কেয়ার তো এটা! ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার কথা। ডিরেক্টর এবং এমও কেউ ফোন ধরেন না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও জানান, কাউকে ধরা যাবে না, রাত হয়ে গিয়েছে। আমি মদন মিত্র। এটা সিপিএমের আমল হলে এক মিনিট লাগত ভর্তি করতে”।

এই ঘটনা নিয়ে তোপ দেগেছে বামেরাও। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এখন তো হাসপাতাল দেখেন বোধহয় অরূপ বিশ্বাস। মদন মিত্রের থেকেও বেশি এখন হাসপাতালে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। সকলে জানে এখন যে রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা যায় না। রেফার রোগীও নেয় না। চেষ্টা করলেও গুরুত্বপূর্ণ রোগী আটকে যান। সব যদি রেফারেন্সে চলে তা হলে তো মদন মিত্রের থেকে যাঁরা আরও বড় নেতা, তাঁদের রেফারেন্সের জোর বেশি। মদন মিত্রের কথার তো কোনও গুরুত্বই নেই”।

Back to top button
%d bloggers like this: